মধ্যনগর প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার দক্ষিণ বংশিকুন্ডা ইউনিয়নের আশেপাশের ৮২টি গ্ৰামের একমাত্র বোর ফসল কেটে ঘরে তোলার জন্য অকাল বন্যার কবল থেকে রক্ষা করতে তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের টাঙ্গুয়ার ওয়াস টাওয়ার কাছে নজরখালি বাঁধ দিতে হয়।এই বাঁধটির জন্য নেই কোনো সরকারি বরাদ্দ।কৃষকরা সেচ্ছা শ্রমে বাঁধ তৈরি করার জন্য উদ্যোগ নেয়। বাঁধ দেওয়ার খবর শুনে বাঁধে ছুটে যান মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মমিনুল হক বেনু মিয়া। এসময় কৃষকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা ব্যক্ত করেন।
জানা যায়, টাঙ্গুয়ার হাওরের নজরখালিতে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ নিয়ে প্রতিবছরই দ্বিধায় থাকে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে টাঙ্গুয়ার হাওরটি ‘পরিবেশ সংকটাপন্ন’ এলাকা হওয়ায় এখানে বাঁধ দেওয়া বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ২০২২ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে সরকারি টাকায় বাঁধ দেয়। সে সময় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় নজরখালি বাঁধটি ভেঙে বিপুল পরিমাণ ফসল ডুবে যায়। টাঙ্গুয়ার হাওরের নজরখালি ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ হলে ৮১ গ্রামের কৃষকের ১০ হাজারের উপর হেক্টর জমিতে লাগানো বোরো ফসল রক্ষা হবে জানান স্থানীয় কৃষকরা। এসময় বাঁধে উপস্থিত ছিলেন মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাহিবুর রহমান, ইনামুল গণি রুবেল, নেকবর হোসেন,সেনুয়ার হোসেন, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কারা নির্যাতিত নেতা রায়হান উদ্দিন সোহেল, দক্ষিণ বংশিকুন্ডা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি শান্ত তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক গুলেনুর মিয়া,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সাবেক মেম্বার মোঃ সাইফুল ইসলাম,চাপাইতি গ্ৰামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও কৃষক মনোয়ার হোসেন,
সাবেক বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল মিয়া,সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক ইউনিয়ন বিএনপি আনোয়ার মিয়া, দক্ষিণ বংশিকুন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির ১নং যুব দলের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম মিয়া সহ হাওরের পাড়ের হাজারো কৃষক।