লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
আল্লাহর সৃষ্টি ৭৭ লক্ষ মখলুকাত জন্মের সময় একই রকম জীব, শিক্ষাদীক্ষা পরিবেশ রক্তধারা তাকে মানবতা মনুষ্যত্ব তাকওয়া পূর্ণ জীবন দেয় বলেই আমি আপনি সে মানুষ !
এই মানুষের অনুভূতি মানবতা মনুষ্যত্ব নিষ্ঠুরতা জিদ রাগ হিংসা ধর্ম বোঝার আই-কিউ সমান না!
ধনী-গরিব শিক্ষিত অশিক্ষিত যশখ্যাতি সম্পন্ন যে কোন লোকের ভিতরে কত দূঃখ থাকে সবাই অনুভব করতে পারে না! বিশেষ করে যে সব মানুষ আমি-আমি এবং আমার পরিবার ছাড়া কিছু বোঝে না তারা অন্যের দূঃখ কষ্ট কখনওই অনুভবে আনে না! মানবতা এবং ধর্মের মুল বানী, “আপনি বাঁচুন অন্যকে বাঁচতে সাহায্য করুন যতদুর সাধ্য থাকে! সব ধর্মের মূল কথা বেঁচে থাকো আমি তুমি সে নিয়ে, তা কয়জনে করি বা মানি বা জানি? হোক অর্থ, পরামর্শ, এক বাটি তরকারি, অত্যাচারির থেকে রক্ষা, —- মরার পর খাটিয়া বহন করা মানব সহায়তা ফরজ! আপনি যা করবেন আপনার সন্তান স্ত্রী /স্বামী তা শিখবে!
বাঁশের ঝাড় থেকে মিষ্টি আম গাছ জন্ম নেয় না। শিক্ষা-দীক্ষা যত উচ্চ হোক না কেন রক্তের এবং পরিবারের ধারা রক্তে থেকে যায়! যেমন কৃপণতা, হিংসা, মেকি বংশ গর্ব, ক্ষমা না করার মানসিকতা, অকৃতজ্ঞতা, আত্মীয়তার বন্ধন না মানা, এমন কি এক বাসায় বেড়াতে গেলে কিছু মিষ্টি নেয়ার অভ্যাস ও সবার থাকে না! ব্যক্তি জীবন টানলে বলবো, গ্রামে গেলে ঘোষ দোকান ফ্রী ঘোল মিষ্টি খাওয়ায় ভালোবেসে! আবার সে জানে অনেক বাড়ী নিমন্ত্রণ পাবেন, কমপক্ষে প্রতি বাড়ী যেতে এক কেজি মিষ্টি এক কেজি দধি নিবেন প্রতি বার! সহধর্মিণী সন্তান তেমন শিখেছেন! কোটি পতি অনেককেই চিনি এ অভ্যাস নেই বা ভদ্রতা সৌজন্য শান্তনা দিতে জানেন না! মরতে হবে তা মানেন না, প্রতিহিংসা থাকে যত উচ্চ শিক্ষিত হোক! বিন্দু হিংসা মানে কোন এবাদত কবুল হয় না কিন্তু শিক্ষা তাকে সে আলো দেয় না, পরিবারে তা দেখে নাই!
আলেকজান্ডার, এলভি প্রি সলি, মাইকেল জ্যাকসন, সম্রাট শাহজাহান, বলিউড নায়িকা মীনা কুমারী, মধু বালা, অসুখী কষ্টের জীবনে ছিলেন! এত নাম সুনাম খ্যাতি সম্পদ থেকেও স্বল্প বয়সে চলে গেছেন, শিক্ষা আছে কিন্তু এই ভাবনা মনে প্রতিস্থাপন না করা হচ্ছে কুশিক্ষা —
এ-থেকে শিক্ষা নিলে কৃতজ্ঞতা, পরোপকার, দম্ভহীন, ক্ষমার হৃদয়, স্বার্থপরতা, সব উর্ধ্বে উঠতে পারার কথা একজন শিক্ষিত লোকের, পরোপকারে ঝাপিয়ে পড়ার কথা, কিন্তু হয়না কারন শিক্ষার পাশে পারিবারিক রক্ত ধারা বাধা!
প্রিয় পাঠক, আপনি কার মনের কষ্ট জানেন, কখনও নিজ মার কাছে বসে জিজ্ঞেস করেছেন, “মা তোমার কি চাই, কোন সন্তান নিয়ে টেনশন করো, তোমার সেবা ৫/৭ টা বেটার বৌ করে না, একজন সেবিকা রেখে দেই?
বলেন নাই কারন টাকা শিক্ষা থাকলেই স্ট্যান্ডার্ড উচু হয় না বা উচু মন হয় না! কোন ভাইটাকে বোনটাকে ডেকে কাছে বসায় জিজ্ঞেস করেছেন, তোর কি একটা প্রাইভেট টিউটর লাগবে? বা তোর স্বামীর আয়ে সংসার চলে?
আমরা তো তা করেছি! সহধর্মিণী নিজ পরিবার থেকে যে শিক্ষা পায় নাই আমার ম্যাগনেটিক ইনডাকশনে আমুল পাল্টে গেছে পরোপকার অর্থবিত্তের সহায়তা করেছে অনেক কে! আমার নিজ গ্রামে থাকা ভাই বলেছে, ” মা’কে তো একজন নার্স রেখে লালন-পালন করতে পারেন! সেদিন খারাপ লেগেছিলো এতগুলো বৌ থাকতে, কিন্তু পরবর্তী তে ভালো লেগেছে, He had the standard of mentality to think so ! মানুষ
শিক্ষা থেকে সব পায় না রক্ত থকে আধা আসে।
গ্রাম ছাড়ার সময় বাবা বলেছিলেন, “ঘুষ খেয়ো না, তিন হাতে কামাই করবে দুই হাতে ব্যয় করবে! তাকিয়ে ছিলাম আমি, বাবা বলেছিলেন, “বুঝলে না, দেমাগ আর দুটো হাত মিলে আয় করবে সৎ পথে, কিন্তু কারূনের ধন জমা করিও না!”
আজ মনে হয় আমার বাবার উপদেশ ছিলো, ” কার্ল মার্ক্সের” থিওরি। কোথায় এমন চিন্তা পেলেন আমার বাবা দক্ষিণ বাংলার এক অজপাড়াগাঁর মানুষ ! রাত দুটো তে বাবাকে দেখেছি কারো বিপদ শুনে ছুটতে! আমি বাবার চরিত্র এবং কর্তব্য নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে আজ-ও মেনে চলি! আমার পরিবার সহধর্মিণী সন্তান তা প্রেরনায় নিয়েছে, আমার বাবা দারুন টেনশনে অনিদ্রায় মৃত্যু হয়েছে বার্ধক্যজনিত নয়! মাথায় ছিলো মামলা, ছিলো হামলার ভয়, ১৯৭৫ সাল — সাংসদ ঢাকা থেকে নিয়ে যেয়ে পুলিশ অত্যাচার বন্ধ করলে-ও মনে বিশ্বাস স্হাপন হয় নাই তার, টেনশন পিছু ছাড়ে নাই, পুলিশ কোনদিন আর যায় নাই!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন, আত্মার সিয়াম করেন দেহের উপোস নয়! সরিষা পরিমাণ মনুষ্য পাপ আপনাকে দোজখ বাসী করবে সারাজীবনের মসজিদ মন্দির দৌড়ানে অকাজ হবে, কুরআন আয়াত এমন ই আছে!