মোঃ শরিফুল ইসলাম, বাগেরহাট (খুলনা) থেকে:
খুলনার বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানাধিন পিলজংগ ইউনিয়নের উদ্যোক্তা মৌসুমী আক্তার পিতা আব্দুল গনি ওরফে (কুটি) মাতা ফিরোজা বেগম পরিবারে দুই বোন এক
ভাইয়ের জন্য পরিবারের বড় মেয়ে হিসেবে যা অনেকেই করতে পারেননি তা করে দেখালেন এই মৌসুমী আক্তার ২০০৭ সালে ইউনিয়ন উদ্যোক্তা হিসেবে যোগদানের পর থেকেই শুরু হয় বিভিন্ন কায়দায় টাকা উপার্জনের কৌশল।
যার মধ্যে রয়েছে ইউনিয়নের বয়স্ক ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, জন্ম সনদ সহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম এ সকল কাজের মধ্য দিয়েই মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা খবর নিয়ে জানা যায় একটি জন্ম সনদ করতে হলে তাকে দিতে হয় দুই হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা শুধুই তাই নয় বিভিন্ন মানুষের নাম দিয়ে উঠিয়ে নিয়েছেন বয়স্ক ভাতার টাকা আবার কারো বা নাম দিয়ে উঠিয়ে নিয়েছেন মাতৃগর্ভের টাকা ২০০৭ সাল থেকে ইউনিয়নে যোগদানের পর থেকেই তার নামে রয়েছে হাজার অভিযোগ বিগত আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালীন তার মাসিক আয় কত ছিল তা কারোরই জানা নেই। কিন্তু একটি ইউনিয়নের উদ্যোক্তা হিসেবে তার আয়ের উৎস এত বেশি ছিল যে বর্তমানে সে নিজে কয়েক কোটি টাকার মালিক বলেই ধারণা করছেন সাধারণ মানুষ নিজের নামে বিভিন্ন স্থানে কিনেছেন সম্পত্তি।
করেছেন বিশাল মার্কেট সহ বাড়ি, নিজ বাড়ির সামনে করেছেন একটি মুদি দোকান শুধুই তাই না বাড়ির বড় মেয়ে হিসেবে সে এখনো বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হননি দুই বোন এক ভাইয়ের সংসারে দুই ভাই বোনকে লেখাপড়া শিখাতে খরচ করেছেন কয়েক লক্ষ টাকা একজন উদ্যোক্তা হিসাবে কোথায় পেয়েছেন এত টাকা তা এলাকার কেউই সঠিক ভাবে বলতে পারেন না সকলেরই ধারণা মানুষের কাছ থেকে অবৈধভাবে বিভিন্ন কায়দায় কৌশলে হাতিয়ে নিয়েছেন এ সমস্ত টাকা। যার অত্যাচারে আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালীন ভুগছেন অনেকেই ওই ইউনিয়নের এমন কোন মানুষ নাই তার প্রতারণার শিকার না হয়েছেন তবুও তার বিরুদ্ধে কেউই মুখ খুলতে সাহস পাননি মৌসুমী আক্তার সিরাজুল ইসলাম চেয়ারম্যান থাকাকালীন তার চাকরি জীবন শুরু করেন পরবর্তীতে চেয়ারম্যান পলাশ, তার পরবর্তীতে চেয়ারম্যান জাহিদ মোড়ল থাকাকালীন হাজার হাজার মানুষের পকেট খালি করে নিয়েছেন এই উদ্যোক্তা মৌসুমী আক্তার যার প্রমাণ ও ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ। আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালীন তার দাপটে এলাকার সাধারণ মানুষ ভয়ে কেঁপেছেন যে সকল চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদে যোগদান করেন সকল চেয়ারম্যানই তার কথার বাইরে চলেন না সে কারণেই আরো ভয়ে থাকতেন সাধারণ মানুষ বর্তমান সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় না থাকলেও তার চাকরি বহল রয়েছে । এখনো পর্যন্ত ইউনিয়নে উদ্যোক্তা হিসেবে হাতিয়ে নিচ্ছেন বিভিন্ন মানুষের হাজার হাজার টাকা আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালীন আয়ের উৎস বেশি থাকলেও ইদানিং একটু কমেছে বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ তবুও কমেনি ক্ষমতার দাপট কোথায় পায় একজন ইউনিয়ন উদ্যোক্তা এত ক্ষমতা তা এলাকার সাধারণ মানুষ জানেন না অর্থলোভী এই মৌসুমী আক্তার মা বাবা ভাই বোনের সংসার বাঁচাতে গিয়ে নিজে এখনো বিয়ের পিঁড়িতে বসতে পারেননি বর্তমান আনুমানিক বয়স ৪০ থেকে ৪২ হলেও বিয়ের কোন চিন্তা ভাবনাই নেই পরিবারের কারও। এর মধ্যেও রয়েছে নানান ধরনের অনৈতিক গল্প যা অনেকেই প্রকাশ করতে রাজি নয় সম্পদ লোভে ও অর্থলোভী এই মৌসুমী আক্তার নিজের আপন মামার নামেও করেছেন মামলা। একজন ইউনিয়ন উদ্যোক্তা হয়ে কোথায় পেলেন এত টাকা কোথা থেকে আসলো কিভাবে আসলো তা অনেকেরই মনে প্রশ্ন।