শামসুন্নাহার সুমা:
শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার আর সেই শিক্ষা দিয়ে থাকে শিক্ষকরা । প্রাথমিক শিক্ষা শিক্ষার মূলভিত্তি হলেও এখনও বৈষম্যের শিকার জাতীয়করণ থেকে বাদপড়া বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকরা।
দীর্ঘ ১৩বছর ধরে আন্দোলন সংগ্রহ করলেও বৈষম্যের থেকে মুক্তি পাইনি ৪১৫৯টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
◆সাবেক ফ্যাসিস্ট সরকার ৯ জানুয়ারি ২০১৩ সনে সারাদেশের সকল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। ঘোষণার পূর্বেই মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পরিসংখ্যান চাওয়া হয়।
◆সারা বাংলাদেশে ৩০ হাজার ৩৫২টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সঠিক পরিসংখ্যান না দেওয়ায় ২৬ হাজার ১৯৩ টি বেসরকারি বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা হয়।
ফলে সারাদেশে ৪১৫৯টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়ে ।
এই বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের দাবিতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিভাগে জেলা উপজেলা ও কেন্দ্রীয়ভাবে মানববন্ধন সাংবাদিক সম্মেলন এবং স্মারকলিপির মাধ্যমে দাবীগুলো তুলে ধরেন।
কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় বার বার শিক্ষকরা রাস্তায় নামলেও বিভিন্ন আশ্বাসের মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। আবারও১০সেপ্টেম্বর ২০২৪তারিখে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মিরপুর-২ সামনে অবস্থান নিলে । প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা শিক্ষকদের দাবীর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে জাতীয়করণ সংবলিত একটি চিঠি মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করবেন বলে আশ্বাস দেন।
এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মামুনুর রশিদ খোকনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সত্যতা স্বীকার করেন এবং বলেন আমরা বেতন ভাতা ছাত্র- ছাত্রীদের টিফিন উপবৃত্তি সবকিছু থেকেই বঞ্চিত।
স্কুল পরিচালনাসহ স্কুলের যাবতীয় খরচ শিক্ষক/শিক্ষিকাদের নিজ খরচে বহন করি এ যেন এক দূর্বিষহ জীবন। জাতীয়করণ এই বুঝি হলো এই স্বপ্ন নিয়ে অনেকে শিক্ষক অবসরে গেছেন।
শিক্ষকদের চাওয়া সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দীক্ষা এটা বাস্তবায়ন হলে ইতিহাসের পাতায় ও শিক্ষকদের নয়নের মণিতে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে তাদের নাম।