লেখকঃ- ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশে সরকারের পতন হলো ৫ ই আগষ্ট ২০২৪. কার অবদান, কে কি ভাবছেন, আমরা কেমন আছি?
প্রিয় পাঠক, মার্কিন সেই ডোনাল্ড লু ভারত থেকে এসে ভারতে ফিরে গেছেন! ভাবখানা যেন আমরা সরকার পতন করে তোমাদের এনেছি, ২ বিলিয়ন দিলাম, আমাদের স্বার্থ রক্ষা করো!
বিএনপি গত ১৫ বছর জেল-জুলুম খেটেছে, তাদের একটা দাবী থাকতে পারে। তারা তো আন্দোলন সংগ্রাম ষড়যন্ত্র যা খুশি করেছেন কিন্তু মহাসমাবেশ করেছেন গতবছর ২৮ শে অক্টোবর সম্ভবতঃ, বজরা টুনি ফসকা গেরো।
তাদের লোকেরা ফাঁস করে দিয়েছে জনসভার বক্তৃতায় (আমানউল্লাহ), ব্যাপক ধরপাকড়ে পড়েছে মুল দল!
যারা এখন ক্ষমতায়, তারা কেউ ব্লগার কেউ ছাত্র কিন্তু গত ১৫ বছর বিশ্লেষণ করেন তারা কি হবে তাও জানে না। স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি ও চাকুরী কোটা তাদের চাওয়া পাওয়া, তারা কেউ মা-ও, গান্ধী, মুজিব, হো চে মিন, লেনিন, কার্ল মার্কস নন!
সেই অপরিনামদর্শী দুর্নীতি প্রশ্রয় দানকারী ঢিলেঢালা প্রশাসনিক মানসিকতার নির্বোধ “শেখ হাসিনা” নিজেই জন বিছিন্ন হয়ে পুলিশ নির্ভর হয়েছেন, তার মন্ত্রী আমলা, পুলিশ প্রশাসন, সাংসদ গন, উপজেলা ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গন ব্যাপক লুটপাট করেছে। জঙ্গলে টয়লেট করা লোকটা ইংলিশ কমোড বাথটাবের ভদ্রলোক হয়েছে! দুঃখজনক হলো ততকালীন প্রধানমন্ত্রী লাগামহীন দলীয় অন্ধত্ব ৫ ই আগষ্ট সৃষ্টি করেছে, একক কারো দেশ দল ব্যক্তির অবদান গৌণ। ইরানের রেজা শাহ, ইদি আমীন, শেখ হাসিনা নিজেরা জন বিছিন্ন হয়ে দেশটা শেষ হতে দিয়েছেন!
প্রিয় পাঠক, ইরাকের সাদ্দাম, লিবিয়ার গাদ্দাফি দেশকে উন্নয়নের চরম শিখরে নিয়েছেন কিন্তু জনগনের দিকে তাকান নাই, তারা কি চায়। মার্কিন সেই সুযোগ নিয়ে নিজেরা ঘাটি গেড়ে দেশটাকে ধূলায় মিশিয়ে দিয়েছে! আজ ও কি সে দেশ মাথা খাড়া করতে পেরেছে? মার্কিন স্বৈরাচার বানায়, গনতন্ত্র ধর্মের পয়গম্বর সাজে কিন্তু যে লোকটাকে বশ করতে পারে নাই তাকে তাড়ায়ে দেশটার হাড্ডি মাংস চুষে শত বছর পিছে ফেলে পালায় আবার ঐ জনগন যখন বোঝে তাদের জীবনের বিনিময়ে!
বাজারে হাজার গুজব, শেখ হাসিনা বর্ডারে দাড়িয়ে আছে ঢুকে পড়তে, ডঃ ইউনূসের পদত্যাগ, ডঃ ইউনূসের সংবিধান পরিবর্তন নারী প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না ইত্যাদি!
আসল খবর দেশে আইনের শাসন নাই, বাজার নিয়ন্ত্রণে নাই, জাতিসংঘ প্রায় ৬৫ দেশের রিট করায় প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘের সভায় যেতে পারেন নাই, রিক্সা ভ্যান সিএনজি টায়ারের দাম ৩/৪ গুন বৃদ্ধি কারন একমাত্র উৎপাদন কারখানা দেড়শ শ্রমিক সহ পোড়ায় দেয়া হয়েছে! আমরা শান্তি চেয়েছিলাম, জীবনের অনিশ্চয়তায় ভুগছে সব মানুষ,শান্তি আসে নাই!
ডঃ ইউনূসের প্রশাসন কি সংবিধান পরিবর্তন করে নারী অধিকার সীমিত করতে পারেন সংসদ ছাড়া।
বিশ্বে ৮০০ কোটি মানুষের ৪০০ কোটি নারী বা একটু বেশী! তাদের হাত-পা বাঁধা কি যায়?
মধ্য যুগ থেকে নারী বিজ্ঞানী ছিলেন, নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার জজ ব্যারিস্টার প্রফেসর —
সেই মেরি কুরি, মারিয়া গিওবার্ট, গণিতবিদ ইরানের মরিয়ম, এমি, কবি বায়েরনের মেয়ে প্রথম কম্পিউটার প্রগ্রামার! কে পেলোনিয়াম বিষ আবিস্কার করলেন যা সায়নেট থেকে ২০০ গুন বেশী ড্যানজারাস যা প্রয়োগে ইয়াসিন আরাফাত কে হত্যা করা হয়েছে, পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল প্রথম নারী, মঙ্গল গ্রহে একদম থেকে যাবেন জীবন দানকারী নারী, সূর্যে গ্লোব বসানো বাহনে একজন বিজ্ঞানী নারী —
নারী তেতুল, দেখলে জিহ্বায় জল আসে, নারী বিছানা আর হেশেল এটা কি ডঃ ইউনূসের ফর্মুলা হতে পারে? এমন পরিবর্তন কি কাল আদালতে টিকবে?
ফেজবুকে এমন স্টেটাসে হাজার জন আলহামদুলিল্লাহ বলেছেন, একজন আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন বলেছেন,”This is out of business of present interim government!
আমরা বাঁচতে চাই, জনগন নিরাপত্তা চায়,দেশ বাঁচান, মানুষ বাঁচান, জাতীয় সঙ্গীত, পতাকা এগুলো দারুন অহেতুক সময় নষ্ট, বাজার নিয়ন্ত্রণ করুন, সংসদ ছাড়া কেউ সার্বভৌম না!