হে নবী, হে প্রিয় নবী, হে বিশ্ব নবী
তোমারি আগমনে আলোকিত পৃথিবী।
সত্য সমাগত, মিথ্যা পরাজিত নব যুগ এলো অন্ধকার দূরীভূত,
আলোর মশাল নিয়ে নবী এলো, পথভোলা মানুষেরে পথ দেখালো।
নবী এলো মক্কায় মা আমিনার কোলে,
খুশিতে কুল কায়েনাত আনন্দে সবাই দোলে।
নবী এলো আরবের ধূসর সাহারায়,
মহান রবের শ্রেষ্ঠ দান নবী এলো এই দুনিয়ায়।
নবী এলো দূর হলো সব অন্ধকার,
নবী এলো সরে গেলো যত ছিল কুসংস্কার।
দ্বীনের দাওয়াত নবী পৌঁছে দিলো মক্কার ঘরে ঘরে,
পাথরের আঘাতে নবীর শরীর হতে রক্ত ঝরে।
মুর্খ, কাফেরেরা নবী কে কষ্ট দিলো,
পরশ পাথর পেয়েও বুঝলো না পাপে লিপ্ত হলো।
কত গোত্রের,ঝগড়া বিবাদের হলো ‘জামিন
নবীকে অবিশ্বাসীরা উপাধি দিলো”আল-আমিন”।
নবী ছিলো ধ্যানে মগ্ন জাবালে নূরে,
হেথায় নাজিল হলো কোরআন নবীজির ‘পড়ে।
মাতৃভূমি ছেড়ে দ্বীনের কাজে চললেন মদিনার পথে,
নিলেন নবী তার প্রিয় সাহাবী আবুবকরকে(রাঃ)সাথে।
নবীকে পেয়ে মদিনার মাঠ ঘাট ধন্য হলো,
দলে দলে সকলে সোনার মানুষকে দেখতে এলো।
পথভোলা মানুষেরে দিলো নবী পথের দিশা,
মরুর প্রান্তর হলো মুখোর কাটলো অমানিশা।
মহানবীকে পেলাম মোরা পেলাম অমুল্য সম্পদ,
পেলাম কোরআন পেলাম হাদীস আমরা নবীর উম্মত।
এমন দরদী নবী আসবে না আর জগতে,
যার জন্য জ্বিন-ইনসান, সৃষ্টি-জগত কাঁদে।
সত্যের পথ, শান্তির বানী, আল্লাহ হলেন একজন,
দিলেন কলেমার দাওয়াত যখন হলেন নবী দুশমন।
বাতিল আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে বারে বারে তরবারি ধরে,
দেখালেন বেদ্বীনেরে জয়ের ধারা সত্য প্রতিষ্ঠা করে।
শুধু যুদ্ধ নয় শান্তি, প্রজ্ঞা, ধৈর্য্য, জয় মানবতার
মক্কা বিজয় হলো প্রতিষ্ঠা সুন্দর “রাষ্ট্র” ন্যায়-বিচার।
কত ছিল অপরাধী, কত ছিল কাফের-বেঈমান,
তাদেরকে ক্ষমা করে বুকে টেনে দিলেন সত্যের সন্ধান।
অন্য ধর্মের মানুষ নবীজির কাছে ছিলো আমানত,
আছে অনেক কথা,আছে সন্ধি আল-আকাবার শপথ।
আরবের মাটিতে শান্তি এলো পেলো সবে অধিকার,
নারীর মর্যাদা, বেলাল হলো সোনার মানুষ পেলো তারা স্বাধিকার।
আবুবকর-ওমর-আলী-ওসমান(রাঃ)-নবীর পরশে গুণী
খাদিজা-ফাতিমা-হাসান-হোসেন নবীজির নয়ন মণি।
নবীজির চলার পথে যে বুড়ি বিছিয়ে দিত কাঁটা পথে দয়াল নবী তার খবর নিতেন বলতেন কথা তার সাথে।
বিদায় হজের দিনে নবীজি দিয়ে গেলেন যে ভাষণ,
সারা দুনিয়ার মানুষের তরে সেটা হলো মহৎ এক দর্শন।
আমরা যদি মানি নবীর দেখানো পথ ইসলামের বিধান,
আমরা দামী হবো যদি মানি সাহাবীদের জীবন ঈমান।
কাবা-শরীফ, হাতীম, মুনতাজিমে, নবীজির পরশ মাখা হজরে-আসওয়াদ, সাফা-মারওয়ায় নবীর ছোঁয়া রাখা।
নবী ইব্রাহিম-ইসমাইলের দোয়ার ফসল সাইয়্যিদুল মুরছালিন,
নবী উম্মতকে করবেন সাফায়াত রোজ হাশরের দিন।
মীনা, জামারা, মুজদালিফায়-রিয়াজুল জান্নাতে নবীর স্মৃতি,
নবী উম্মতের তরে কাঁদলেন সারাটি জীবন দেখালেন কত প্রীতি।
উম্মতের কান্ডারী, রহমতের ভান্ডারী, রহমাতুল্লিল আল-আমীন,
মেরাজ থেকে আনলেন নামাজ দিলেন তোহফা রাব্বুল-আলামিন।
আরবের পথে পথে নবীর পথ চলা নবীর গায়ের সুঘ্রাণ,
মন কাঁদে সদা হেথায় যেতে সে পথে চলতে কাঁদে-মোমিনের প্রাণ।।