স্টাফ রিপোর্টার:
শনিবার সংগঠনের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়,শিক্ষকের অকৃত্রিম ভালোবাসা, নিবিড় পরিচর্যা আর শিক্ষার্থীর অপরিসীম শ্রদ্ধা ও মনোযোগ-নিষ্ঠায় ছাত্র-শিক্ষক পবিত্র সম্পর্ক অপার বন্ধনে ও অনাবিল সৌন্দর্যে বিকশিত হয়ে থাকে। কিন্তু সম্প্রতি আমরা ছাত্র-শিক্ষকের এক ভিন্ন সম্পর্ক দেখতে পাচ্ছি।
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের নানাভাবে লাঞ্ছিত করে জোড় পূর্বক পদত্যাগ করানোর ঘটনাগুলো নিঃসন্দেহে অত্যন্ত দুঃখজনক। দেশের সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয় সহ অনাকাঙ্ক্ষিত বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্কের অবনতিতে আমরা গভীর উদ্বীগ্ন।
শিক্ষকতা একটি আদর্শ ও মহান পেশা,সেবামূলক কাজ ও একটি সমাজকল্যাণমূলক ব্রত। কিন্তু কতিপয় শিক্ষক এই পেশাকে কলুষিত করেছেন, সেজন্য ছাত্রদের দ্বারা শিক্ষক অপদস্ত হওয়ার ঘটনা জাতি হিসেবে আমাদের লজ্জিত করে। কোনো শিক্ষক যদি অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা তথা কোনো অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িন হন তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইন আছে। আমরা শিক্ষার্থীরা যথোপযুক্ত প্রমাণ উপস্থাপন করে আইনি দাবি জানাতে পারি। কোনোভাবেই আমরা একজন শিক্ষকের গায়ে হাত তোলতে পারি না।
কিন্তু আমরা দেখছি জোর করে শিক্ষকদের পদত্যাগ করানো হচ্ছে, গায়ে হাত তোলা হচ্ছে। এসব দেখে মনে হচ্ছে আমরা শিক্ষকদের মর্যাদা ভুলে যাচ্ছি। শিক্ষককে মর্যাদার আসনে রাখতে হবে। শিক্ষকদের লাঞ্ছনা, অপমান ও অশ্রদ্ধা করে কোনোভাবেই রাষ্ট্র সংস্কার সম্ভব নয়।
তাই আসুন এ বিষয়ে আমরা সোচ্চার হই। সকল বিভেদ ভুলে ছাত্র-শিক্ষকের যৌথ আয়োজনে শিক্ষাঙ্গনকে সত্যিকারের জ্ঞানচর্চার পাদপীঠ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করি।