লেখক:- ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।।
ইউক্রেন কে ডেকে পরামর্শ দেয়া হলো তড়িঘড়ি করে N A T O তে ঢুকে পড়ো তেমার শনির দশা দেখছি! ব্যাস আর যায় কোথায় কৌতুক অভিনেতা জেলেনেস্কি তড়িঘড়ি শুরু করলেন N A T O শক্তিধর হতে! উল্লেখ্য ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ভেঙে দিয়ে ১৫ টা দেশ বের করার সময় দুটো ওয়াদা ছিলো মিখাইল গর্বাচভের সাথে। আমি তো ইতিহাসে সোভিয়েত ভাঙার বেঈমান হিসাবে চিহ্নিত হবো তবে দুটো শর্ত মেনে নাও — মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট “জর্জ বড় বুশের” সাথে “গর্বাচভ অনুরোধ রাখলেন – ১. সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বের হওয়া কোন দেশ কে N A T O লাঠিয়াল বাহিনীর সদস্য করা যাবে না! ২. W A R S সোভিয়েত লাঠিয়াল বাহিনী ভেঙে দিলাম, তোমরা ও N A T O ভেঙে দিবে!
চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনি! দুটো প্রতিশ্রুতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেঈমানি করেছে!
ইউক্রেনে মার্কিন কোন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করলে তা রাশিয়ার রান্না ঘরে যেয়ে পড়ে তাই রাশিয়া অস্তিত্ব রক্ষা করতে রাখ ঢাক না করেই ইউক্রেন আক্রমণ করে! মার্কিন জানতো ইউক্রেন আক্রান্ত হবে! মার্কিন প্রফেসর যিনি গ্রেটব্রিটেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তার ৩/৪ পাতার আর্টিকেলে লিখেছেন,”ইউক্রেন ধ্বংসের কারিগর জো বাইডেন নিজে!” রাশিয়া আগ্রাসী নয়! আজ ইউক্রেন এত ধ্বংস হয়েছে যে ১০০ বছরে ও আগের সোভিয়েত ইউনিয়ন উন্নত ইউক্রেন হবে না!
প্রিয় পাঠক, মার্কিন অর্থনীতি হচ্ছে “WAR ECONOMY”! বিশ্বে যুদ্ধ থাকলে অস্ত্র গোলাবারুদ বিক্রি হয় এবং মার্কিন অর্থনীতি চাঙা থাকে! মার্কিনের বছরে মোট বিক্রিত অস্ত্র গোলাবারুদের ৩৭% কিনতো একা সৌদি আরব, ১৭% মিশর, ১৩% সংযুক্ত আরব আমিরাত — ইত্যাদি। সবই ছিলো জুজু বুড়ি ইরানের ভীতি। চীন ইরানের সাথে আরব বিশ্বের বাসর ঘর ভীতি ভেঙে দিছে এখন আর অস্ত্র তারা কেনে না! এশিয়া “শেখ হাসিনা “কে তাড়াবার আগের দিন পর্যন্ত এক ছিলো, আজকের কথা বলা খুব কঠিন!
তাই আমেরিকা ঝুকছে ইউরোপীয় দেশে অস্ত্র গোলাবারুদ বেচতে!
আর একটা ইউক্রেন বানানোর চেস্টা চলছে ইউরোপীয় দেশ ” মালদোভা” কে! ছোট দেশ, মাত্র লাখ ২৫ মানুষ। পাহাড় জঙ্গল ভর্তি, মালদোভা! সোভিয়েত উন্নয়ন ছোয়ায় উজ্জীবিত একটা দেশ! ১৯৯১ সালের সোভিয়েত থেকে বের করে দেয়া একটা দেশ!
সেখানে কয়েকদিন আগে জার্মান মার্কিন মিটিং করে বুঝিয়েছে, “ইউক্রেনের পর তোমাকে রাশিয়া ধরবে, অতএব, সজ্জিত হও অস্ত্র গোলাবারুদে, আমরা তো আছি! তাছাড়া ইউক্রেনে ই রাশিয়া কে খতম করতে পারলে ভালো, তা হলে তোমাকে আর ধরতে পারবে না!
আল্লাহ দুনিয়া সৃষ্টির পর আদম আঃ ও তার পরবর্তী জেনারেশন কে” মিস লিড মিস গাইড” করতে কার কার দায়িত্ব প্রার্থনা মঞ্জুর করেছিলেন, তার মধ্যে কি মার্কিন সিআইএ ছিলো? নাকি “কলম্বাসের” আগে আমেরিকা আবিস্কার হয় নাই!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন।