অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছি, আগের মতো এক চামচ সত্যি কথা লিখতে ইচ্ছে করছে।
মায়ের আঁচলে যে সুখ, তা আমি প্রথম চুম্বন করেছিলাম ভূমিষ্ঠ হওয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই।
সেই সুখ, সেই গন্ধ আমাকে বড় হতে দেয়নি।
যখন আমার হাতের শিরা খুঁজে পাচ্ছিল না ডাক্তার, তবুও ইনজেকশন পুশ করে আমাকে সুস্থ করার চেষ্টা করছিল।
তখন মনে হচ্ছিল সমস্ত ওষুধই জল, এইসব ওষুধে আমার কোনো কাজ হবে না, আমাকে ফিরতে হবে মায়ের কাছে।
জুঁই ফুলের জ্বালা কমবে বৈজ্ঞানিক ঔষধে নয়, মায়ের আঁচলযুক্ত গ্রাম্য পলিমাটিতে।
রাতে যখন মা অজু সেরে আমার ঘরে এলো, আমি মাকে বললাম, ‘মা, আমার পাশে একটু বসো।’
আমি বিছানায় শুয়ে আছি, মা বিছানায় বসতেই মাকে জড়িয়ে ধরে আমার পাশে শুইয়ে দিলাম।
বুকের মধ্যে পানকৌড়ির মতো ডুব দিয়ে মাকে বললাম, ‘মা, আমাকে জড়িয়ে ধরো, আরও শক্ত করে জড়িয়ে।
তুমি জানো না, যখন আমার সারা পৃথিবী শূন্য লাগে, তখন তোমাকে জড়িয়ে ধরলে আমার সমস্তটা ভরে যায়, আমি পরিপূর্ণ হয়ে উঠি।’
এখন সেই ওষুধগুলোই ঠিকঠাক কাজ করছে, আমি সুস্থ হয়ে উঠছি।
আমি আবার কবিতা পাঠ করছি, কবিতা লিখছি, ভ্রু নাচিয়ে তোমার সঙ্গে ভালোবাসার দিন কাটাচ্ছি।
জাসমিনা খাতুন
রামপুরহাট, বীরভূম, ভারত।