এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট:
বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্র বন্দরের জেটিতে থাকা বিভিন্ন আমদানিকারকদের আরও ৪০টি গাড়ি নিলামে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে নিলামে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের জন্য দরপত্র বিক্রি শুরু করা হয়েছে। এসব দরপত্র দাখিল-খোলার স্থান এবং তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে।
আগামী সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মোংলা কাস্টম হাউস, খুলনা ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেট এবং চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেট শিডিউল জমা দেওয়া ছাড়াও বাংলাদেশ কাস্টমসের ই-অকশন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিলামে অংশ নিতে নিবন্ধন করে বিড করতে পারবেন আগ্রহীরা।
এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর নিলামে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতার নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে। তার পর সব প্রক্রিয়া শেষে গাড়িগুলো বিডকারীকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
মোংলা কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার মো. রুবেল হাসান জানান, আমদানি হওয়া গাড়ি বা যে কোনো পণ্য সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক, কাস্টমস আইনের নিয়ম মেনে বন্দরে খালাসের পর পরবর্তী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ছাড় করিয়ে নিতে হবে।
ওই সময়ের মধ্যে আমদানি পণ্য ছাড় না করিয়ে নিলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নিলাম প্রক্রিয়া শুরু করে। তারই অংশ হিসেবে আবারও আমদানিকারকদের ৪০টি গাড়ি নিলামে তোলা হচ্ছে। এসব গাড়ির মধ্যে রয়েছে হাইয়েস, ডাম্প ট্রাক, মাইক্রোসহ বিভিন্ন গাড়ি।
তিনি আরও বলেন, এর আগে সর্বশেষ গত ১৮ আগস্ট নিলামে তোলা হয় ১০টি গাড়ি। সে সময় নিলামে ওঠা গাড়ির মধ্যে ছিল নিশান, পাজেরো, এক্সিও, হাইব্রিড, টয়োটা ভিজ, প্রোবক্স, অ্যাকোয়া হাইব্রিড, মাইক্রো, অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গাড়ি। কোনো জটিলতা না থাকায় ওই ১০টি গাড়ির বিক্রয় আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মোংলা কাস্টম হাউস সূত্র জানায়, মোংলা কাস্টমস হাউসের রাজস্ব আয়ের ৫২ শতাংশ আসে মোংলা বন্দর মাধ্যমে আমদানি হওয়া গাড়ির শুল্ক থেকে। দীর্ঘদিন আমদানি করা গাড়ি বন্দরে পড়ে থাকলে শুল্ক আদায় ব্যাহত হয়।
নিলাম প্রক্রিয়া চালু রাখলে গাড়ি বা অন্যান্য পণ্য রাখতে ব্যবসায়ীদের সুবিধার পাশাপাশি সঠিক সময় সরকারের রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে। তাই নিলাম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমদানি-খালাস প্রক্রিয়া সচল রাখা হয়।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক বিভাগ সূত্র জানা যায়, ২০০৯ সালের ৩ জুন হকস বে অটোমোবাইল নামক একটি প্রতিষ্ঠান প্রথমে মোংলা বন্দরের মাধ্যমে গাড়ি আমদানি শুরু করে। ওই চালানে ২৫৫ রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানির মধ্য দিয়ে মোংলা বন্দরে গাড়ি রাখার কার্যক্রম শুরু হয়।