লেখকঃ- ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
আমরা যারা মুসলমানের ঘরে জন্ম নিয়ে সস্তায় মুসলমান হয়ে যাই না বুঝে না জেনে না শুনে তেমনি হিন্দুদের ঘরে, বৌদ্ধদের ঘরে জন্ম নিয়ে বৌদ্ধ হয়ে যায় কিছু না বুঝে, আমরা কেউ মানবতা সম্পন্ন মানুষ হই না! হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ হয় শুধু মানবতা মনুষ্যত্ব অর্জন ধর্মের মুল বানী তার ধারেকাছেও আমরা থাকি না। সে জন্য রোহিঙ্গা বাসায় ঢুকে বৌদ্ধ দেবের সেই অনুসারী রা একজন অস্ত্র উচিয়ে দাড়ায় থাকে আর ১০ জনে একজন নারীকে ধর্ষন করতে পারে, ধর্মের গেরুয়া তো গায়ে আছে, কি নাই, নাই সেই মানবতা মনুষ্যত্ব। আমরা কিছু হলেই মসজিদ ভাঙি মন্দির ভাঙি উপর ওয়ালাকে মনে রাখি না।
প্রিয় পাঠক, রাজনৈতিক নেতা যখন ম্যান্ডেলা, ফিদেল কাস্ত্রো, লেলিন, চেগুয়েবার, গান্ধী, জিন্নাহ, ভাসানী তর্কবাগীশ সোহরাওয়ার্দী মুজিবের মত জেল-জুলুম ছাড়া পরিবারতন্ত্র থেকে উঠে আসেন তারা দেশ জনগন তথা রাজনৈতিক নিগূঢ় তত্ব বোঝেন না! তখন ই দেশের বারোটা বাজে তাদের স্বৈর আচরণে কারন রাজনৈতিক পোড়া খেয়ে তো ক্ষমতায় আসেন নাই, তাই কেউ কৃষক আন্দোলন দমায় গুলি করে কেউ ছাত্র আন্দোলন দমাতে চায় হার্ড লাইনে ছাত্র হত্যা করে! তখন ই হয় বিপর্যয় এবং সব অর্জন ভুলুন্ঠিত হয়ে দেশের জনগন তথা দেশ হুমকির মুখে পড়ে।
আমার বিষয়, শেখ হাসিনার যত ভুল, প্রিয় পাঠক, তার মারাত্মক ভুল “ওবায়দুল কাদেরের” মত একজন সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ করা! সবাই জো হুজুর জাঁহাপনা চান, মেরুদণ্ড হীন ব্যক্তিকে চান তা হলে পরামর্শ কে দেবে? সব রাজনৈতিক দলের এমন একজন জেনারেল সেক্রেটারি প্রয়োজন যিনি টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া মাসে একবার ভ্রমন করার শারিরীক ও মানসিক সামর্থ্য রাখেন! ছাত্র উপদেষ্টা একসময় তোফায়েল আহমেদ ছিলেন! বাগেরহাটের ছাত্র নেতা “বাদল” টিএসসি চত্বরে সভার সময় বাদ মাগরিব আমতলা ডেকে নিয়ে হত্যা হওয়ার পর তোফায়েল আহমেদ কে সরিয়ে দেয়া হয়।
পরবর্তী ছাত্র উপদেষ্টারা কতোটা যোগ্য কর্মঠ ছিলেন তা মন্তব্য করার ধৃষ্টতা আমার নাই!
ব্যক্তিত্বহীন লোভী অপ্রতুল জ্ঞানের অধিকারী
লাগামহীন বক্তব্য ধারী শারীরিক ভাবে অক্ষম ওবায়দুল কাদের কে জেনারেল সেক্রেটারি করায় আওয়ামী নামক দল প্রায় অকেজো ছিলো!
সাংসদ নির্বাচন গুলো স্বচ্ছ করা যেতো, স্হানীয় সরকার নির্বাচনে ৮ টি বিভাগের ৬৪ জেলায় ৪৯৫ জন উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী হতে হবে এটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিলো।
এখান থেকে এক দেড় হাজার বিরোধী দল বা স্বতন্ত্র পেলে কোন মহাভারত অসুদ্ধ হতো না। কূটনীতিক ভাবে বিএনপি বা জামাত জাতিয় পার্টির কিছু উপজেলা নেতাকে নির্বাচনে এনে চেয়ারম্যান করে না নেয়া চরম ভুল! একই ভাবে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোট ৪৫৭৮ জন সব আওয়ামী হতে হবে কেন, দুই হাজার অন্য দল বা স্বতন্ত্র না হতে দেয়া মারাত্মক ভুল। দলীয় প্রতিক ব্যবহার আরো বড় ভুল। যারা “বঙ্গবন্ধু” লিখতে তিনটা কলম ভাঙে তার প্রতিক জোরে চেয়ারম্যান।
হিন্দু হলে ই আওয়ামী লীগ, ফরিদপুর গোপালগঞ্জ হলেই দেশ প্রেমিক এ ধারনায় নিজ পরিবারের ৮ জন সাংসদ তৈরি মারাত্মক ভুল! আজ ও আনসার বিদ্রোহ সব জেলায় পাবলিক খন্ড বিদ্রোহ মেডিকেলে বিদ্রোহ সংখ্যা লঘূ নিরাপত্তাহীনতা শিক্ষক অপদস্ত সব সব সবকিছুর জন্য একজন শেখ হাসিনা দায়ী, ৫ ই আগষ্টের পরের প্রান হানির জন্য ও তিনি দায়ী! আজ নেট সংযোগ নাই, অভিযোগের জায়গা নাই এসব একজন শেখ হাসিনা দায়ী!
কোন সাংসদ তার এলাকায় নজরদারি রাখার প্রয়োজনীতা অনুভব করেন নাই। ত্যাগী নেতারা অবহেলিত, U N O আর O C সাহেব সাংসদের রাজনৈতিক বন্ধু ছিলেন। সেখানে ফোন করে জানতেন কাকে সোজা করতে হবে কাকে বুকে নিতে হবে? কাকে ব্যবসা দিতে হবে এসব প্রতিটি ভুল শেখ হাসিনার দায় বলে আমি মনে করি।
দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ যা কিছু নিয়ে মানুষ উৎকন্ঠা প্রকাশ করে, ভিন্ন জনের দোষ দেয়, আমি সব জায়গায় একজন “শেখ হাসিনার” অপরিনামদর্শীতা জবাবদিহি দায় না থাকা, দুর্নীতি প্রশ্রয়, কাল কি হবে না জানা’র চেষ্টা, গ্লোবাল পলিটিক্স না বোঝাকে শতভাগ দায়ী করি আমার ক্ষুদ্র মতিষ্ক আর কারো প্রতি ঈঙ্গিত দেয় না!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন। নিজ নিজ ধর্ম করেন, মনে রাখুন আল্লাহ ছাড় দেন ছেড়ে দেন না!