কলমে: সাহেলা সার্মিন
জেগে জেগে আর কতো ঘুমাবে নারী
দিতে হবে দুর্গম পথ পাড়ি!
আর নয় নিঃশব্দ রোদন
ঘরে বসে বসে নয় কোন কাঁদন!
ঘরে তুমি কোমলমতি
ভায়ের আদরের বোন অতি,
মা- বাবার সোহাগের ভাণ্ডী
রাস্তায় বেরোলে সাজো রণ কালী চণ্ডী।
এবার জাগো সব নির্যাতিতের দল
বসে বসে শুধু করলে হবে না কোলাহল!
নিজেকে নিজেই ধর অগ্নি মূর্তি
তোমায় নিয়ে যেনো সাহস না পায় করতে ফুর্তি!
স্রষ্টার অতি নিখুঁত সৃষ্টি তুমি নও ভিন্ন
কী ভেবেছে ওরা!!
ইচ্ছে হলেই বস্ত্র উদাম করে করবে ছিন্ন?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মজনু,ভিকারুননিসার পরিমল
এমনি আরো অনেকেই ক্ষমা পেয়ে করে ঝলমল।
সুজেট জর্ডন,নুসরাত, মৌমিতার মতো কাল
আর যেনো কখনো কারো না হয় এমন হাল।
ওরা অসুর, ওরা জানোয়ার,ওরা হিংস্র তক্ষক
নারী দেখলেই লালসায় জিহ্বা করে লকলক!
হাতে লও অসুর নাশিনী দূর্গার ত্রিশূল
দশভুজা হয়ে আঘাতে করো নির্মূল!
অন্ন বস্ত্রে যেমন হও সাবলম্বী
নিজেকে নিজে রক্ষা করতে এবার হও বিপ্লবী!
অসুর নিধনে স্থির রাখো মন
ঘর থেকে বেরোলেই মনে মনে জারি করো সমন।
লাইলী,শিরি,জুলিয়েটের দিন শেষ
এ যুগের মজনু,ফরহাদ,রোমিও খোঁজে উঁচুনিচু গিরিখাত!
বিশ্বের শত হলো কাস্ট, গেছে কোটি কোটি প্রাণ
তার ভিতরে কোটি নারীর ছিন্ন দেহ ম্রিয়মান?
আজও মেসোপটেমিয়া, আর্মেনিয়া, কুর্দি,
ভারত ও বাংলার বুকে নারী দেহ লালসার শিকারে চলে ফুর্তি!
জাগো নারী জাগো,কোমলতা ঢেকে রাখো
যখন যেখানে যেমন সেখানে তেমন মূর্তি আঁকো!