কলমে:- ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
আর একটা যুদ্ধ চাই
সেই ‘৭১ এর মত তেমন,
বারুদের গন্ধ ছিলো চারিদিক
গভীর রাতে এসেছিলে যেমন।
তোমার কাঁধে ছিলো রাইফেল
ছিলে কাক ভেজা, বীরের বেশ,
বাড়ীতে সবাই ঘুম, নিস্তব্ধ চারিদিক
চপচপ রক্তে ভেজা এলোমেলো কেশ!
বৃষ্টিতে ভিজে টেনে তুললাম তোমায় ঘরে
মা এলেন আঁচল টেনে, ছুটে,
কোন বুকের ধন তুই?
মুখখানি তোর চাঁদের মত ফুটে!
ডেটল তুলায় সেজে গেলাম সেবিকা
মা করালেন স্নান তোমায়,
তুমি বাংলার সূর্য সন্তান, মুক্তিযোদ্ধা
সৃষ্টিকর্তা দিলেন সুযোগ সেবার আমায়!
বললে দু’দিন খাইনি মা!
ধানক্ষেতে ছিলাম যুদ্ধরত,
পাকসেনারা ঘিরলো রাতদুপুরে
জানি না সহযোদ্ধারা কে কোথা হয়েছে ‘হত’ ?
চোখের কোণে এলো জল!
তুমি সূর্যসেন ক্ষুদিরাম প্রীতিলতার বংশধর,
নেতাজি সুভাষের শিষ্য মুজিবের সহচর
ইচ্ছে হলো জড়িয়ে ধরে করি কদর!
তুমি বীর, যুদ্ধাহত মুক্তিসেনা
ছিলো মাজায় বেল্ট – ভর্তি বুলেট,
বলেছিলে, দেশে আছে মা আর বোন
বাড়ী তোমার শাহজালালের সিলেট!
মা ঘুমান নিজ রুমে একা
তুমি ক্লান্ত অবসাদের ঘুমে,
আমি শিয়রে জাগি, সেবিকা
নষ্টচেতন,জড়িয়ে ধরে ওষ্ঠ দিলাম চুমি!
জেগে গিয়ে বুকে নিলে টেনে
স্বর্গসুখ, বক্ষে বক্ষ মিলে,
আজও অনুভবি সে স্বর্গসুখ
পঞ্চাশ বছর জ্বলছি তিলে তিলে!
বেঁচে আছো নাকি তিরিশ লক্ষ শহীদের কাতারে?
কষ্ট পেতে ‘সুভাষ মুজিবের’ স্বপ্নের দেশ চেয়ে!
সুদ ঘুষ দুর্নীতি মদ মাতালের গুন্ডামি হয়নি শেষ
ওপারে ভালোই আছো অসভ্য প্রলয় না দেখে বেশ!
কবে আসবে আবার আমার ঘরে
যদি আসে আবার একাত্তর?
রাইফেল হাতে বেল্ট ভর্তি বুলেট
এসো হে প্রিয় করতে খতম, দেশদ্রোহী নব্য শত্রুর!