লেখক:- ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলেন লেবাননের হিযবুল্লাহ স্ব সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান “নাসরুল্লা” যিনি ১৯৯২ সাল থেকে মৃত্যুর ২৭ শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই কঠিন দায়িত্ব দক্ষতার সাথে পালন করে আসছেন! ৬৪ বছর বয়স কখন ও আরামে ঘুমাতে পেরেছেন কিনা তা শুধু সৃষ্টি কর্তা বলতে পারেন। চার লক্ষ যোদ্ধা তৈরি করেছিলেন যারা ছিলো সুইসাইড স্কোয়াড! ২০০৬ সালে ইসরায়েল হিযবুল্লাহর সাথে পরাজয় বরন করে জাতিসংঘের মাধ্যমে যুদ্ধ বিরতি তে চলে যায়!
ইসরায়েল মাত্র মাস আগে ফিলিস্তিন প্রতিরোধ স্ব সস্ত্র যোদ্ধা গোষ্ঠী হামাস প্রধান “ইসমাইল হানিয়াকে” তেহরানে আকস্মিক হামলায় হত্যা করে! তিনিও ৬১ বছর বয়সে দুনিয়া ছাড়লেন দেখে যেতে পারলেন না স্বাধীন ফিলিস্তিন রাস্ট্র।! সাকসেফুল ইসরায়েল ও তার প্রভু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র! ১৬৩ টা রাস্ট্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাস্ট্র সমর্থন করে ভোট দিয়েছেন জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যদের মধ্যে, সারা বিশ্বে ছাত্র আন্দোলন হয়েছে! একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা থাজা সত্বেও বিশ্ব মোড়ল আমেরিকা তা মেনে নেয় নাই! বাংলাদেশের ধর্মধ্বজী রাজনৈতিক দলগুলো যেমন আমেরিকা কে দেবতা বলে ফিলিস্তিন তা বলে না এই হলো তাদের অপরাধ! তারা এক আল্লাহ কে দেবতা বা উপাস্য মানে!
বিশ্বে মোট ৫৬ টা মুসলিম রাস্ট্র, একটা ইহুদি রাস্ট্র ৭০ বছর ধরে মুসলমানদের রক্তে স্নান করছে কারো দূঃখ প্রকাশের সময় নাই। দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশে মসজিদ মাদ্রাসার ছড়াছড়ি, দাড়ি-টুপি লম্বা জামার অভাব নাই, লক্ষাধিক ফিলিস্তিন হত্যা, নাসরুল্লা হানিয়ার মৃত্যু তে আমাদের দেশের কোন মসজিদে দোয়া হয় নাই! এমন মেরুদণ্ড হীন মুসলমান কে যখন আমরা সো কল্ড ইসলামি বলি তখন আমরা হয়ে যাই নাস্তিক কাফির!
ইসরায়েলের চারিদিকে ২৪ টা মুসলিম দেশ, কেউ হাসি কাশি দেয় না ইসরায়েলের বিরুদ্ধে!
স্হল যুদ্ধ চলছে গাজা ও দক্ষিন লেবাননে, জঙ্গি বিমান হামলা হচ্ছে জনবসতি পূর্ণ এলাকায়, পালিয়ে ও জীবন বাঁচাতে পারছে না নিরীহ জনগন! ইয়েমেনে বিমান হামলা করেছে ইসরায়েল হুতি বিদ্রোহীদের সামরিক ঘাটিতে, গুড়িয়ে দিয়েছে সদর দপ্তর লেবানন ও ইয়েম!
প্রিয় পাঠক, ৭০ বছর আগে পথে ঘাটে শুয়ে থাকা বিছিন্ন এক জাতি কে একত্রিত করতে “হ্যারি ট্রু ম্যান” ফিলিস্তিনের পতিত ফাকা জমিতে বসতি স্হান করে দেন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা হিটলারের গনহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া ইহুদি জাতিকে! ফিলিস্তিনের মেহমান এখন পুরা ফিলিস্তিন দখন করে নেয়ার পথে আমেরিকার সমর্থনে! গাজায় প্রচুর বসতি স্হাপন করেছে দখল সত্বে! ১৯৪৮ সালেই ইসরায়েল কে স্বীকৃতি দেয় আমেরিকা এবং জাতিসংঘের রাস্ট্রীয় মর্যাদা পেতে সাহায্য করে অথচ আজও ফিলিস্তিন রাস্ট্রীয় মর্যাদা পেলো না।
ইহুদি রা হযরত মূসার বংশধর, জেরুজালেম মূসা নবী মিশর ফেরাউন থেকে বেঁচে এসে এখানে আবাদ করেছিলেন! বিশ্বে আজ পর্যন্ত মোট ৮৯২ জন নোবেলজয়ী হয়েছেন তার ২০০ জন ই ইহুদি! বিশ্বে মোট ইহুদি সংখ্যা দেড় কোটি মাত্র! মুসলমান ২০০ কোটি! তাদের দেশে (ইসরায়েলে) নারী পুরুষ দুই বছর সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামুলক! বিশ্ব সভ্যতা শুরু হয়েছিলো মুসলমান দিয়ে, মিশরীয় সভ্যতা, ব্যাবিলিয়ন সভ্যতা, সিন্ধু সভ্যতা! ম্যাথ রসায়ন আবিস্কারের জনক মুসলমান, “ইবনে সিনার” নাম শোনে নাই এমন মুসলমান বিশ্বে নাই!
আজ কি শিক্ষা আমাদের দেশে ইংরেজ রা ভারতের দেওবন্দ মাওলানা “আবুল কাশেম সাহেবের” মাধ্যমে সেই সময়কার ৩৮ কোটি টাকা খরচ মাদ্রাসা গড়ে দিয়ে গেছেন, বিজ্ঞান ও নারী শিক্ষা হারাম ফতোয়ায় চলয়মান এখন আর “ইবনে সিনা” র মত রসায়নবিদ তৈরি হয় না! অথচ এই মাদ্রাসা গুলোতে গত সরকার কওমি মাদার সাজলেন কিন্তু মাওলানা শফি সাহেবের সাথে যে আলোচনা ছিলো এবং তিনি ও মেনে নিয়েছিলেন সেই কিছু বিষয় মাদ্রাসা পাঠ্য বইতে সংযোজন, যেমন বিজ্ঞান ইতিহাস ভূগোল বাংলা ইংরেজি (ঐচ্ছিক)! এই কামটায় তিনি হাত দিলেন না অথচ কওমি মাদ্রাসা মাওলানা পাশ কে মাস্টার্স পাশ সমান মর্যাদা দিয়ে ই ক্ষান্ত হলেন তাদের efficiency আন্তর্জাতিক মানের করলপন না! কোন একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন সব চেয়ে বড় মাদ্রাসা কারন প্রাপ্ত নাম্বারে ভর্তি system তাদের যথেষ্ট ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির সুযোগ পায় যা সাধারণ কলেজ ছাতরা এত নাম্বার carry করতে পারে না!
বিশ্বের কলকাঠি নাড়ে ইহুদি রা, আমেরিকান C I A এর পরেই ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা
“মোসাদ” যারা এশিয়ায় অঘটন ঘটনা পটীয়সী!
তারা বিশ্বে কি ঘটতে যাচ্ছে তা ছয় মাস আগে
টের পায় যেখানে বাংলাদেশ গোয়েন্দা সংস্থা সরকার পতনের পর জানে গুলশান কোন হোটেলে মিটিং হয়েছিলো!
বিশ্বের বড়বড় যত সংস্থা তার C E O ইহুদি।
হলিউড এর প্রযোজক থেকে স্যাটালাইট বিজ্ঞানী ইহুদি! বিশ্ব খ্যাত বিজ্ঞানী আইনস্টাইন ইহুদি ছিলেন! ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বধীনতার যৌথ বাহিনী পূর্বসেক্টর ফিল্ড কমান্ডার মেজর জেনারেল জ্যাকব ছিলেন ইহুদি যিনি রেসকোর্সে নিয়াজির সারেন্ডার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন!
মুসলমান রা আছে দেশের প্রগতিশীল দের অগ্রগতি থামাতে নাস্তিক অস্ত্র ব্যবহার ও
একই কুরআন পড়া শিয়াসুন্নি, কাদিয়ানী ওহাবি
৩১ ভাগের লড়াই নিয়ে ব্যস্হ এবং নারীর পায়ে বেড়ি দিয়ে চার বিবি হালাল ফতোয়ায় সূর্যালোক থেকে নারীকে বঞ্চিত করতে শুধু দুটো চক্ষু বের করা বোরকায় ৭/৮ বছরের শিশুটাকে ও খাঁচায় বন্দি করার ব্যবস্হায় ব্যস্হ অথচ তখনও ঐ নারী (শিশুর) পাপপুণ্য হিসাবের খাতাও খোলেন নাই ফেরেশতারা!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন। ইসলামের অবক্ষয় লক্ষ্য করেন এবং লেবাসি মুসলমান নয় কুরআনের মুসলমান হন যেখানে ইসলাম আছে! ইসরায়েল দেবতা নয় আমাদের দেবতা এক ঈশ্বরবাদ (আল্লাহ)!