০১- সেই তো চিরসত্য
জন্মের পরই শুনতে পেলাম আসতে সে যে পারে,
ক্ষণেক পরে-বহু দূরে, নিয়ম মেনে, যখন ডাক পড়ে।।
সে যে করেছে ওয়াদা, রাখবেই একদিন যেন তা,
পাহাড়, নদী, সাগর, গদি, পৌঁছাবে তারই বারতা।।
সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ, সেই একমাত্র সত্য বলে,
আর যত তোমার পাশে সত্য-মিথ্যা দুই রকমই চলে।।
সে করে না আপোষ কোনো, এই ভব সংসারে,
ফর্দি দেখে, সময় মতো আসবে তোমার দ্বারে।।
সে সিরিয়ালের ধার ধারে না-মানে না অজুহাত,
অর্থ-বিত্ত, লোভ-লালসার উর্ধ্বে তাহার হাত।।
মায়া-দয়া জানে না সে-মহান প্রভুর ভক্ত খুব,
সামনে আসলে ছায়া তাহার-সব প্রাণীই নিশ্চুপ।।
রাও থাকে না মুখে যে আর-দেখে না কিছু চোখে,
মুহুর্তেই নির্বাক! ভাসে সবাই বিচ্ছেদেরই শোকে।।
মৃত্যুই তো হলো সৃজন আগে, পরে সৃজন জান,
আজরাইলের হাতেই কবজ হবে, সকল প্রাণীর প্রাণ।।
সেই মিটাবে সকল চাওয়া, থাকবে না আর বাকি,
সবখানে চালাক হলেও-তাকে যাবে না দেওয়া ফাঁকি।।
সেই তো আসবে বীরের বেশে-মোদেরকে নিয়ে যাবে,
এই জগতের পাঠ’ শেষ হবে-অন্য জগতে পাঠাবে।।
করবে সে স্বজন হারা, সম্পদ হারা, দরদী কেউ রবে না,
তার হাতে দিতে হবে, সোনার জীবন-বাহানা চলবে না।।
আশেকের সাথে মাশুকের দেখা-তার কারণেই হবে,
সেই চিরসত্য! মিথ্যে নহে, একবার-প্রমাণ হয়েই যাবে।।
সে আর কেউ নয়, সবার চেয়ে আপন-মৃত্যুর পরোয়ানা,
ইহজগতের ঘটবে ইতি! রব-ই যে হবে আসল ঠিকানা।।
০২- তুমি-
তুমিই বসন্ত তুমিই ফাগুন,
তুমিহীনা জ্বলে মনেতে আগুন।।
তুমিই মোর চাঁদ, তুমিই তারা,
তুমিই যে আমার বসুন্ধরা।।
তুমিই হিয়া, তুমিই মোর প্রিয়া,
বেঁচে আছি-তোমারই প্রেম নিয়া।।
তুমিই ছুয়ে দিলে-পাই স্নিগ্ধ পর্শ,
তুমিই দূরে গেলে লাগে না হর্ষ।।
তুমিই কামিনী-তুমিই দামীনি,
তুমিই ভূলোক-তুমিই আসমানী।
তুমিই কদরের-তুমিই আদরের,
তুমিই কায়া, তুমিই ছায়া হৃদয়ের।।
তুমিই ভুলোনা, করো না ছলোনা,
তুমিই শুধু তুমি, তুমিই যে মোর ভাবনা।।
তুমিই বেশ, তুমিই মধুর আবেশ,
তুমিই শুরু, তুমিই যেন মোর শেষ।।
মহসিন আলম মুহিন
খামার গ্রাম কলেজ পাড়া
থানাঃ-এনায়েতপুর
উপজেলাঃ-চৌহালী
জেলাঃ-সিরাজগঞ্জ
বিভাগঃ-রাজশাহী
দেশঃ-বাংলাদেশ