প্রিয় শিক্ষক,
প্রথমেই আমার শ্রদ্ধা ও সালাম জানাই।
লেখার শুরুতেই একটা সুন্দর প্রবাদ দিয়ে শুরু করতে চাই-শিক্ষকবৃন্দ মানুষ গড়ার একটা সুন্দর কারিগর। প্রিয় শিক্ষক সেইদিন আমার বাবা একটা বড় দালান সমৃদ্ধ একটা প্রতিষ্ঠানে আমায় ভর্তি করিয়ে দেন। প্রথমে সবকিছুই ছিলো তখন নতুন এমনকি আপনি আর আপনার সহকারী শিক্ষকবৃন্দ। কত বড় আর রাগী মানুষ মনে হতো। ভয় হতো আপনাদের সাথে ভালো ভাবে ভালো হয়ে থাকতে পারবো কিনা। আরো মনে হতো কেনো যে বাবা আমাকে এখানে ভর্তি করলো। এত রাগী মানুষদের কে কিভাবে হুজুর এবং স্যার বলবো।
প্রিয় শিক্ষক,
এই যে বললাম না আপনাদের মতো এই অদ্ভুত আর রাগী মানুষ গুলো কে কিভাবে স্যার বলবো। কিন্তু কি বলবো বেশিদিন লাগে নি আপনাদের মতো রাগী শিক্ষক দের কাছে প্রিয় হতে আর আপনারা আমার কাছে প্রিয় হতে।
প্রিয় শিক্ষক,
প্রথমে ভেবেছিলাম বাবা আমার সাথে যা করলো অন্যায় করলো। কিন্তু পরবর্তীতে আমি সেটাকে দোয়া হিসাবে মানতে পেরেছি। প্রিয় শিক্ষক আমার বাবার পরে আপনারাই হয়েছেন আমার অভিভাবক। আপনারা আমাকে আল্লাহর পথে যাওয়ার রাস্তা দেখিয়েছেন।আপনারা আমাকে পর্দা শিখিয়েছেন। মানুষ কে সম্মান ও শ্রদ্ধা করতে শিখিয়েছেন।
প্রিয় শিক্ষক,
ক্লাস শেষে টিফিনে আপনারা দাঁড়িয়ে থাকেন জোহরের নামাজ আদায় করানোর জন্য। সুতরাং আমি বলতে বাধ্য যে আপনি এবং আপনার সহকারীবৃন্দ আমার আদর্শ শিক্ষক। শাসনে জড়ানো ভালো বাসা কাকে বলে তা আপনাদের না দেখলে বুঝতাম না। আমার পড়াশুনায় আমার বাবা মা আমাকে যতটা উৎসাহ দিয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি আপনারা দিয়েছেন।
প্রিয় শিক্ষক,
সামনে আমার মতো আরো অনেক শিক্ষার্থীর আলো হয়ে থাকবেন এই আশা করি।
ইতি
আপনার ছাত্রী
মোছা: নাজমুন নাহার খান
দক্ষিণ বালা পাড়া ফাজিল (ডিগ্রী ) মাদ্রাসা।
লালমনিরহাট, রংপুর।