…………………………….
কল্পনারা মন ছুঁই ছুঁই
দিবো না তোদের সাড়া,
মন মহুয়ায় একলা নাহি
হব না দিশেহারা।
বহুকাল আমি ছুটে চলেছি
তোর নিশানাই তোরই পানে,
মনহরা তোর অনূভতি
ছন্দ পাতার স্বপানে।
পথ গুলো তোর বন্ধুর বড়
সংকিত তাই হিয়া,
তবুও ও পথ দলিয়েছি
অনঢ় অভয় দিয়া।
তোর সুখ সুখ ঐ অনুভতি নিয়ে
মন মজিব না আর,
চলে যাও মায়াবী আলেয়া
খোলা আছে মন দ্বার।
তোর মায়ালীলা কন্টকাকীর্ণ
দুর্দিনের মরিচিকে,
তোর কঠিন বাস্তবতায়
জীবন আমার রংহীন আর ফিকে।
কাল বৈশাখী সুনামীর মত
একোন হানা দিলি,
রোষানলে পুড়ে গেছে সুখ
আজ বাস্তবতায় চোখ মেলি।
তোর পরতে কত মধু
মেলি স্বপ্নিল জাল,
সুর হারিয়ে তাল হারিয়ে
পরক্ষণেই বেতাল।
কল্পনা তুই বিল্লি সোনা
দুঃখ ভুলিতে এক ফোঁটা সুখ,
এক নিমিষেই আবার যেন
অসহনীয় দুখ।
কল্পনা তোর নিত্য নতুন
আনকোরা সব সাজ,
বেলা শেষে তুই জাগিস
স্বপ্ন ভঙ্গের বাজ।
কল্পনা তুই সুখের সাগর
তবে জল কেন এত নীল,
চোখ ধাঁধিয়ে মন মজিয়ে
পুড়লি শেষে দিল।
ওরে একটু আগেই সবই তো ছিল
কুঁড়ে ঘরের আদরমাখা চালা,
সুখ পরশের নন্দন রাজ
চন্দ্রীয় আলোয় সর্বরী বালা।
তারারা ছিল চাঁদও ছিল
সুখের লহরী পাড়ায়,
গোপন কোষে মধ্যমনি
আমিও ছিলাম সেথায়।
চাঁদ সাগরের কলকল ধ্বনি
সুমিষ্ট তার সুর,
ওরে কোথায় গেল নন্দনরাজ
ঔ সুর শোনা যায় বহুদুর।
স্বপ্ন ভঙ্গ হলো, সাঙ্গ হলো সুখ
দিল হলো চুরচুর,
কোথায় গেল শুভ্র মেঘের ভেলা
বক্ষ কম্পিত দুরুদুর।
ওরে আনারী এমন
ভাষা নাহি পায় দুঃখ বলিবার,
অজানা শোকে আড়ষ্ট চিত্ত
কি যেন খোঁজে সংকিত বারেবার।
রচনা কাল:-৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪