(০১) মাফ?
—————————————
আমি মশাগুলোকে মাফ করে দিলাম!
রাতের আঁধারে চীর্ণ মশারীর ফাঁকে গলে
রক্ত চুষে ভরিয়েছে তারা পেট।
বেরোনোর পথ খুঁজে খুঁজে দিশেহারা,
আপনার ভারে এখন শুধুই দুলে দুলে ওড়ে।
ভরা পেটে জড়িয়েছে মশারীর জালে
মোটা পেটে বেরোনোর পথ হয়েছে সরু।
রক্তে রাঙানো লাল পেট
ধূসর পাখনা এক্ষনে বড়ই ক্ষীণ।
ঘুম ভেঙ্গে উঠে, সকাল রোদ্দুর গায়ে মেখে
আমি চেয়ে চেয়ে থাকি;
দু হাত আর রাঙাতে চাই নি।
—
(০২) প্রতিবাদের গণনা
——————————-
সবার হিসেব আলাদা আলাদা।
গণনার সূত্র সব পৃথক পৃথক,
প্রতিবাদ কি করে এক হয়!
কোথাও কোথাও নানা পানি মিলেমিশে খানিকটা এগোয় আবার
ক্ষণেক পরেই প্রান্তরেখা ধরে পৃথক হয়ে পড়ে।
তোমার প্রতিবাদ আমাকে তল দেয় না,
হেসে ফেলি ফিক করে।
আঁচের পরশ না পেয়ে তুমিও হাসো আমার প্রতিবাদে।
তুমি আমি পড়শী, প্রতিবেশী;
গণনার হেরফেরে পৃথক পৃথক প্রতিবাদী।
—
(০৩) মাটির রঙ কেমন?
——————————–
এত বুদবুদে আমি খেই পাই না,
লক্ষ-কোটির ফেনার ঘরগুলো-
তাদের রঙ, আকার আর মিলিয়ে যাওয়া;
পড়তে চলা বেলায়
মুখরিত পথে নিশ্চূপে বসে
দেখতে থাকি-
মাঝে মাঝে, দেখতেই থাকি।
কখন বেলা গড়িয়ে যাবে,
কখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসবে-
তা হয়তো জানতেও পারবো না।
তবুও ভীড়ের মাঝে একাকী
পথে পথে ঝুপ করে বসে পড়া,
বুদবুদ থেকে গভীরে তলিয়ে যাওয়া-
মাটির এক এক কণা কতই না রূপসী হয়ে ওঠে!
—
(০৪) তাগিদ
—————–
আকাশের দিকে তাকিয়ে আমি বসে আছি,
কই সে রাজপুত্তুর কোনখানে?
ঘুটঘুটে আঁধারে রাতের তারারা
নিজেদের জ্বালাতেই ব্যস্ত সবখানে;
জানি, ওদেরও সময় ফুরিয়ে আসবে একদিন।
হঠাৎই হারিয়ে যাবে ধূমকেতুগুলোও
নিজেদেরই পুচ্ছ তাড়নায়।
আমি কি তখনও বসে থাকবো?
চলো, ওঠা যাক!
এ নরম মাটির বুকে
হাজারো আঁচড়ের দাগকে সাক্ষী রেখে,
আজ, আঁধার রাতের শপথে-
কঠিন হৃদয়ের তাগিদ আবারো ফেরত আনি!
—