সংবাদদাতা: ভারত
পুষ্প মমতা সাহিত্য পত্রিকার হিজুলি ষষ্ঠ সংখ্যা উন্মোচিত হল ৪ঠা অক্টোবর ২০২৪ দুপুর দুটোই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রানাঘাট ভারতী উচ্চ বিদ্যালয় সভা ঘরে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সভাপতি কুমুদ রঞ্জন বিশ্বাস, অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি সুবোধ দেবনাথ, প্রদীপ মুখোপাধ্যায়, মৃন্ময় দে সুভাষ কান্জীলাল, প্রমূখ। উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন দেবোকি দুলাল চক্রবর্তী। কবিতা পাঠ সংগীত ও বক্তব্য রাখেন কবি শিল্পী ও সাহিত্যিকগণ। উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাঙালি বিশ্বকোষের মুখ্য ব্যবস্থাপক কবি ও শিশু সাহিত্যিক আব্দুল করিম, তিনি বক্তব্যে বলেন দেশ ৭৮ বছর স্বাধীনতার পরে বাংলা ভাষা রাষ্ট্রীয় ধ্রুপদী ভাষার সম্মানে সম্মানিত হল। ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত যে ছটি ভাষা ধ্রুপদী ভাষায় সম্মানিত হয়েছে সেই সকল ভাষার থেকে কোন অংশে খামতি নেই বাংলা ভাষার ক্ষেত্রে তবু আমাদের আঠাত্তর বছর স্বাধীনতার পরে অপেক্ষা করতে হল বড় দুর্ভাগ্যের বিষয় বাংলা ভাষাভাষী মানুষ সংখ্যা তত্ত্বে ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় জনসংখ্যার মানুষের ভাষা। কৌশলে শিক্ষা ব্যবসায়ীরা বাংলা জুড়ে ইংলিশ মিডিয়ামের নামে যে শিক্ষা ব্যবস্থা গ্রামে গ্রামে প্রচলন শুরু করেছে তাতে করে কতটা আমাদের মাতৃভাষা বাংলা ভাষা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে তা ভবিষ্যতই বলতে পারবে। বাংলা ভাষাভাষী মানুষদের সাবধান করেন। রাষ্ট্রীয় ধ্রুপদী ভাষা সম্মান নিয়ে যেন আবেগ তাড়িত না হয়ে ওঠেন, বাস্তবায়ন সম্পর্কে সচেতন করেন। আগামীতে বাংলা ভাষা ও বাংলার আশা নিয়ে আরও বড় আন্দোলনে নামার জন্য বলেন । বিশ্বে প্রায় ৪০ কোটি বাংলা ভাষাভাষী মানুষ যা প্রায় পৃথিবীর কুড়ি ভাগের এক ভাগ মানুষের ভাষা, সংখ্যা তত্ত্বে সপ্তম অংশে বিচরণ বাংলা ভাষা পৃথিবীময়।বাঙালি বিশ্বকোষে সকলকে যুক্ত হওয়ার আহ্বান করেন। উল্লেখযোগ্য যারা উপস্থিত ছিলেন কবি সাহিত্যিক কবি সুনীল রায় রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস অল চন্দ্র পাল অগ্নিপাল ডা: দীনেশ মুখোপাধ্যায়, চন্দ্রনাথ বিশ্বাস কাজল ভাদুরি নিতাই সিকদার তুলসী দে রাজিব নিয়োগী নাহিদ রাজা আহামেদ রাকেশ বিশ্বাস গৌতম দত্ত গোপা দেবনাথ বিশ্বাস অধিকারী পুষ্পিতা গুহ, সন্দীপ রায় কুমুদ রঞ্জন রায় শ্রাবন্তী বিশ্বাস মুকুল পাল না মুখোপাধ্যায় রবীন্দ্রনাথ গোস্বামী প্রমূখ। প্রায় একশতরও বেশি কবি সাহিত্যিক শিল্পী ও শিক্ষানুরাগী মানুষের স্থিতিতে ভরে ওঠে সভা ঘর। সম্পাদক নুপুর গাঙ্গুলী সকল উপস্থিতিকে মেমন্ট,স্মারক সংসাপত্র ও ব্যাচ দিয়ে বরন করেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কবি বাদল দেবনাথ প্রার্থনা ঘোষের কবিতা পাঠের পর জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে সন্ধ্যা ছটায় আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষনা করেন।