নরসিংদী প্রতিনিধিঃ
নরসিংদীর রায়পুরার মেঘনা নদীতে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনে বাঁধা দেয়ায় ইউপি সদস্য ও লোকজনের বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুর লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ বেশ কয়েকজন নেতা প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে।
আজ সোমবার বিকেলে ইউপি সদস্য বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে রায়পুরা থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের দিঘলিয়াকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের আঘাতে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়ে নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী জানান, বাঁশগাড়ি-চরমধুয়া এলাকার মেঘনা নদী হইতে ড্রেজারের মাধ্যমে
মেঘনায় অবৈধ বালু উত্তোলন করে আসছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে বাঁধা দেয়ার ওই চক্রটি ইউপি সদস্য ও তার লোকজনের বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুর লুটপাট বেশ কয়েকজনকে আহত করে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী ইউপি সদস্য এরশাদ মিয়া বলেন, গত এক সপ্তাহ আগে বাঁশগাড়ি ও চরমধুয়া এলাকার মেঘনা নদী হইতে গত কয়েকদিন যাবত ৫-৭টি অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিলো আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা ও বিএনপির কথিত এক নেতা এই চক্রের সাথে জরিত। মেঘনা নদী হইতে অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে নদী পাড়ে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ফলে ব্যাপক ক্ষতি মুখে পড়ছে নদী পাড়ের মানুষ। জনগনের চাপে জনপ্রতিনিধি হিসেবে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে বাঁধা দেই। এরি জেরে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাঁশগাড়ি ইউপি বর্তমান চেয়ারম্যান রাতুল হাসান জাকির (৪০)এর নেতৃত্বে চরমধুয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আমান উল্লা আমান(৪৫), সালাম সিকদার (৬৫), লিটন মিয়া (৩৫), হারুন মিয়া (৩৮), রুবেল (ছোট) (৩২),হানিফা (৪৪), ইউনুছ আলী(৪৫), মনির পচা মনির (৩৮)সহ একদল অস্ত্রধারী তাহাদের হাতে থাকা অবৈধ বন্দুক, ধারালো অস্ত্রসস্ত্র নিয়া আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য বাড়িতে এসে হামলা ভাংচুর লুটপাট করে। ভাই শাহরিয়াসহ রাসেদ মিয়া, রবিউল, ওয়াসিম, কালাম মিয়া সহ আরও অনেককে তারা গুলিবিদ্ধ সহ গরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে। বেশ কয়েকটি বাড়ি ঘরে আসবাবপত্র ভাংচুর স্বর্ণালংকারসহ মালামাল লুণ্ঠন করিয়া নিয়া যায়। মেঘনায় অবৈধ বালু উত্তোলন জরিতরা নিয়মিত আগ্নেঅস্ত্রের মহরা দিচ্ছে। অবৈধ ড্রেজার বন্ধসহ এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দাবি করছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী বলেন, এখন না দেশ স্বাধীন হয়েছে। এখনো কি করে অস্ত্র গুলাবারুদ নিয়ে মহরা হামলা লুটপাট করে। জীবনের নিরাপত্তা কে দিবে? আপনাদের সামনে তাদের বিরুদ্ধে কথা বললেও ভয়। খবরে আমার ছবি দেখে কখন আবার মেরে খেলে। অস্ত্রের খেলা বন্ধ হওয়া চাই।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান রাতুল হাসান জাকিরের মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করেও কথা বলা সম্ভব হয়ে উঠে নি।
বাঁশগাড়ি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম বলেন, ওই দিন দুই পক্ষের মাঝে ধাওয়া পাল্টা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে সাথে সাথে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। অস্ত্রসহ কাউকে ধরতে পারলেই চালান করে দেই। অভিযোগের বিষয়ে এখন পর্যন্ত জানা নেই।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আব্দুল জব্বার এর মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিয়েও কল ধরেন নি।