কবি: জাহিদুল ইসলাম মুন্সি
হঠাৎ অতিবৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢল।
পানিতে সব ভেসে গেছে নকলা- নালিতাবাড়ীর সমতল।
প্রান বাঁচাতে ছুটছে মানুষ সঙ্গে নিতে পারেনি কিছু,
গলা সমান পানি বাবার কাঁধে শিশু।
এমন দুর্যোগেও কাঁদাতে পারেনি বন্ধ ছিলো যাদের আঁখি ।
সুখে তাপে ব্যাথিত নই কিন্তু এ লজ্জা কোথায় রাখি।
আমরা কী তাহলে শুধুই গণনা আদমশুমারী।
বন্যা দিয়ে গেলো শিক্ষা
মানুষ চিনার দিক্ষা।
শেরপুরে যখন পানিতে থইথই,
টেলিভিশনে দেখি পরিমনি গান গাইছে তইতই।
সাংবাদিক নামক সাংঘাতিক ভাইয়েরা ঘুমিয়ে পড়েছিলো বন্ধ রেখে সব যন্ত্রকল।
তোরা আর কবে মানুষ হবি বল।
বিপদে মোরে শক্তি দাও হে দয়াময়।
অহংকারে পুর্ন জাতি শিক্ষা দাও অনুনয়।
এই বানের পানি হয়তো শুকিয়ে যাবে,
আপনারা যা দিয়ে গেলেন তার রেখা থেকে যাবে।
বলতে চাইনা কটু কথা,
জমা থাকুক সব ব্যথা।
হিসেবের খাতাটা একদিন খোলে দিবেন আপে নিরঞ্জন।
বন্ধ হবে তখন পাপ পুন্যের সকল বিশেষণের বিশেষণ।