“বৃষ্টিভেজা চোখ”
বৃষ্টিভেজা চোখ শুধু
খুঁজে পেয়েছে সমুদ্র,
হৃদয়ের নির্যাস শুকিয়ে
কাটাচ্ছে রাত বিনিদ্র।
হৃদয়ের গভীর ক্ষতগুলো
যন্ত্রণা দিয়েছে বাড়িয়ে,
আঁখি জলের বারিধারা
দিয়েছে দু’কূল ভাসিয়ে।
ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে
বয়ে যায় স্রোতধারা,
একূল ওকূল ভাসিয়ে
দিয়েছে করে স্বপ্নহারা।
অসহায়ের দৃষ্টিতে তাকিয়ে
দেখে কঠিন নিয়তি,
কীভাবে বৃথা করে
হলো ব্যর্থ মিনতি।
হৃদয় ভাঙ্গা চোখে
কান্নাই হয় সাথী,
যে চোখ আর
পায়না দেখতে বাতি।
“”স্তব্ধতার দেয়াল””
অনিশ্চয়তায় অতৃপ্ত মন মলিন দৃষ্টিতে
স্তব্ধতায় কাটায় সারাক্ষণ,
বৃষ্টি ভিজিয়ে আঁখিযুগলকে শুধু
কাঁদিয়ে যায় প্রতিক্ষণ।
আপনারে লয়ে হীনস্বার্থে কুচক্রী মহল
ঘামচে ধরে অধিকার,
প্রতিবাদের ভাষায় বলে যে কথা
থাকেনা তার নিস্তার।
মুখে নীতিকথা অহরহ উচ্চারণ করে
সাজে সততার প্রতীক,
কার্যক্ষেত্রে ন্যাক্কারজনক কাজে ব্যস্ত থেকে
করে আঁধার চারিদিক।
অন্যায়ের প্রতিবাদের মশাল যখনই জ্বালায়
চালায় তখনই স্টীমরোলার,
মুখ থুবড়ে পড়ে থেকে প্রতিবাদী
হারায় প্রতিবাদের অধিকার।
অনিয়মের জাঁতাকলে পিষ্ট হতে হতে
হারায় বাক স্বাধীনতা,
নীরবে অশ্রু ঝরিয়ে ভুক্তভোগীর মনে
আসে শেষে স্তব্ধতা।
“””” ভক্ত প্রাণ”””
ধর্মপ্রাণ সনাতনীর মন আজ উৎফুল্লে
করবে বরণ দুর্গতিনাশিনী মাকে,
ষষ্ঠীর বিহীত পূজায় ভক্তির মাঝে
করবে লালন মাকে বুকে।
খুশীর আনন্দে বীণ বাজিয়ে
ভুলে যাবে তিক্ততার জ্বালা,
দুঃখ বিরহ বেদনার হিসাব না কষে
গাঁথবে ভক্তি রসে পুষ্পের মালা।
শুনতে চাইবে না আজ অশুভের বার্তা
চাইবে শুনতে শুভ কামনার আওয়াজ,
মনের অসুরত্বকে দমন করে মা যেনো
অসুরের মাথায় ফেলে বাজ।
শরতের কাশবনের আয়েশী হাওয়ায়
কুড়াবে শিউলি শ্রভ্রতার স্বচ্ছতায়,
মায়ের প্রার্থনায় পূজারী নিমগ্ন প্রাণে
থাকবে একান্তে নীরব আরাধনায়।
শ্রেণী বৈষম্য, জাত পাত ভুলে সবাই
বলবে মাকে আমরা মানুষ,
হীন স্বার্থ উদ্ধার করতে গিয়ে যেনো
মনুষ্যত্ব হারিয়ে না হই বেহুঁশ।