মোঃ আবদুল্লাহ বুড়িচং।।
এলজিইডি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্ব পেলেন কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার বু্ড়িচং সদর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের কৃতি সন্তান মোঃ নজরুল ইসলাম ভাই ২০০৫ সালে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। দীর্ঘ ১৬ বছর পর বর্তমান সরকার তাকে পদোন্নতি দিয়ে এলজিইডি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব দায়িত্ব প্রদান করেন। উনার পদোন্নতিতে বুড়িচং ও হরিপুর গ্রামে আনন্দের বন্যা বইছে।।
সকলের শ্রদ্ধেয় প্রিয় মানুষ মোঃ নজরুল ইসলাম ভাই অতিরিক্ত সচিব হিসেবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। নতুন দায়িত্ব পেয়ে তিনি সর্বপ্রথম যে কাজটা করেছেন রাজনৈতিক বন্যায় হঠাৎ করে আক্রান্ত হয়ে আমাদের এলাকার যে ভয়ংকর ক্ষতিসাধন হয়েছে তা পূরণে রাস্তাঘাট গুলোকে চলাচলের উপযুক্ত করার এবং দ্রুত গতিতে তা পুনঃনির্মাণ করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার।
তিনি নিজে মানুষ দিয়ে আবেদন করিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এবং অনুমোদন করে দিয়েছেন দ্রুত গতিতে।
একটু পেছনে ফিরি
তিনি যখন সহকারী সচিব হিসেবে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস এ যোগদান করেছিলেন তার প্রতিটি কর্মে এবং দায়িত্ব পালনে বুড়িচংয়ের মাটি ও মানুষের উন্নয়নের বিষয়টিকে ইবাদতের অংশ হিসেবে নিয়েছিলেন তিনি। রীতিমত আলোড়ন তুলে ছিলেন সরকারের সমস্ত সুযোগ সুবিধাগুলোকে কাজে লাগিয়ে এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলের উন্নয়নে ভূমিকা পালনের মাধ্যমে।
পরবর্তীতে পদোন্নতি পেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে তিনি যা করেছেন সেটা বুড়িচং অঞ্চলের মানুষের কাছে একটা ইতিহাস। বুড়িচং এলাকার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তার উন্নয়নের ছোঁয়া জড়িয়ে আছে। প্রচুর পরিমাণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করণ কিংবা শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে ভালো মানের প্রতিষ্ঠান তৈরি, মেধাবীদের ডেকে ডেকে শিক্ষকতা পেশার সুযোগ তৈরি করে দেয়া, বাঁশের বেড়া কিংবা টিনের ঘরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ইটের দালানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে তৈরি, ধর্মীয় শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে যুগোপযোগী সিলেবাস প্রণয়নের মাধ্যমে এলাকার শিক্ষার প্রসারে ব্যাপক ভূমিকা পালনের মতো কাজগুলো মানুষের মুখে মুখে ফিরেছে অনেকদিন। শুধু জেনারেল এডুকেশনে নয়, কারিগরি শিক্ষায় তিনি রীতিমত বিপ্লব ঘটিয়েছেন আমাদের এলাকায়। এক ফজলুর রহমান মেমোরিয়াল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠানটি সারা বাংলাদেশে বেশ কয়েকবার জাতীয় পর্যায়ে শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হয়েছে। এর মূল কুশীলব মোঃ নজরুল ইসলাম সাহেব । বুড়িচং এ কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হবে এটা কেউ আমরা কখনো ভাবি নি। তিনি যখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তখন তার সুপরামর্শ ও গাইডলাইনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন কারিগরি প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক মানের সিলেবাস প্রণয়ন করেছেন, দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন এবং তাদের সাথে থেকে থেকে তিনি রীতিমত বিপ্লব ঘটিয়েছেন এই জায়গায়। জেনারেল এডুকেশন ও কারিগরি শিক্ষায় শুধু থেমে থাকেননি। বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপন, আধুনিকীকরণ ও দ্বীন প্রচারের খেদমতে তাদের আন্তরিক নিবেদন যেনো তৈরি হয় তার জন্যও তিনি অনেক অনেক কাজ করেছেন। একটি নার্সিং ইনস্টিটিউট থেকে শুরু করে আরো অনেকগুলো জাতীয় মানের ভালো প্রতিষ্ঠান তৈরি হবে এ স্বপ্ন তিনি অনেক দিন লালন করতেন।
দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত মেধাবী ও চৌকস প্রিয় এই মানুষটিকে পদোন্নতি বঞ্চিত রাখা হয়েছিল অন্যায় ভাবে। অনেক চোখের পানি ফেলেছিলেন তিনি… আমরা তার সাক্ষী। ভরা মজলিসে হাত তুলে আমরা সবাই দোয়া করে কেঁদেছিলাম এই মানুষটির প্রতি জুলুম যেন নিরসন হয় তার জন্য।
তিনি বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়ার মাটি মানুষ ও জনপদের জন্য যেভাবে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করেছিলেন এবং করেন, যেভাবে তিনি সরকারের সর্বোচ্চ সুবিধাটুকুর সদ্ব্যবহার করে কোনো ধরনের বৈষম্য না করে এলাকার উন্নয়ন সাধিত অতীতে করেছিলেন এবং ভবিষ্যতে করবেন বলে আত্মবিশ্বাসী এই অঞ্চলের জনগণ। অবশ্যই আল্লাহ পাক তার হাত ধরেই আমাদের এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়নগুলো করবেন বলেই আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।