লেখক: ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট কে ক্ষমতাচ্যুত করতে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, নাহিদ ইসলাম ও প্রধান বিচারপতি (তথ্য বিদেশি চ্যানেল)! দেশের দ্রব্য মূল্য নাভিশ্বাস, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, চাঁদাবাজি, জনজীবনে নিরাপত্তা হীনতা, রিজার্ভ সংকট, বিদ্যুৎ ঘাটতি, জাতিসংঘের সদস্য হীনতায় শান্তি বাহিনীর সেনাদের দেশে ফেরতের সম্ভাবনা, গার্মেন্টস সেক্টর সম্পূর্ণ ধ্বংস ইত্যাদি সহ হাজার সমস্যা রেখে প্রেসিডেন্ট কে তাড়ানো, আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ, জাতীয় দিবসের ছুটি গুলো নিষিদ্ধ, জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় পতাকা, জাতির জনক ইত্যাদি নিয়ে কেন ব্যস্হ এই সরকার তা আমার বোধগম্য হয় না!
প্রিয় পাঠক, ছাত্র নেতৃত্ব একটা disposable leadership, যে জনসমর্থন আজ আছে কাল থাকে না, তাদের দিয়ে এবং বিশ্বের বড় ভাইর ভরসায় যা অরাজকতা চালানো হচ্ছে তাতে সামরিক শাসন দ্রুত আসছে তাতে সন্দেহ নাই!
এসব উপদেষ্টা পরিষদ ভেঙে যদি সেনা প্রধান সামরিক আইন জারি করেন অবশ্যই এসব উপদেষ্টারা দশ বছরের কারাদন্ডে পড়ে যাবেন এবং “বাশ ডলন” খাবেন তাতে কোন সন্দেহ নাই!
গভীর ঘুমে নিমগ্ন থাকা হাসিনাকে বাঁচাতে সেনা বাহিনী একটা গুলি ও খরচ করতে চান নাই তার অর্থ এই নয় তারা দেশের প্রেসিডেন্ট কে তাড়ানোতে কোন রকম নিরব থাকবেন! তখন লাখ হত্যা হলে-ও Genocide বলতে পারবেন না! কারন ১৯৭৩ সালে চিলির আলেন্দে কে হত্যা করে ‘পিনা চোট” ৬০ লাখ হত্যা করে ক্ষমতায় থাকা কে কেউ Genocide বলে নাই!
জানি না দেশটাকে সুন্দর কিছু উপহার দেয়ার বদলে দেশের সর্বনাশ করার এজেন্ডা নিয়ে কি ডঃ ইউনূসের সরকার ক্ষমতায় এসেছিলেন?
পাঠক, নির্বোধ শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ আই-কিউ ওয়ালা সন্তান “সজীব ওয়াজেদ জয়” আন্তর্জাতিক আদালতে লবিষ্ঠ নিয়োগ করেছেন! সুইজারল্যান্ড আদালত শেখ হাসিনা কে বাংলাদেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী রায় দিলে তিনি তার যে কোন বন্ধু রাস্ট্রের কাছে সাহায্য চাইতে পারবেন, চীন রাশিয়া ভারত যে কোন দেশের কাছে, যেমন সাদ্দাম হোসেন কুয়েত দখল করলে কুয়েত আমেরিকার কাছে সরাসরি হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন! তখন বর্তমান অসাংবিধানিক সরকার কোথায় পালাবেন তা আমার ভাবতে ও ভয় হয়! এত অপরিপক্ক জ্ঞানের লোকদের দ্বারা শেখ হাসিনা উৎখাত হলেন যা ভাবতে অবাক লাগে এবং দেশটা এভাবে রসাতলে গেলো, দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের এভাবে অপমানিত হতে হলো এসব নাবালক disposable নেতৃত্বের হাতে !!! দুর্ভাগা দে-শ ——