অভিমানী
তুমি ভিষণ অভিমানী
একেবারে শরতের ঘোমটা দেওয়া আকাশের মত,
তুমি বড়োই আহ্লাদী
শুকিয়ে যাওয়া নিস্তেজ লতার মতো।তুমি বড়ই অভিমানী ফরহাদ ভাইয়ের পুকুরে নীল জলরাশির মতো।কখনো কাউকে বুঝতেই দিলে না,মনের রোদন। নিরবে নিভৃতে হারিয়ে গেলে মৃত উল্কাপিণ্ডর মতো।আমি শরতে আকাশ থেকে সাদা মেঘ হয়ে ঝড়াতে চেয়েছিলাম ভালবাসার এক ঝাক বৃষ্টি।
ভাবতেও পারিনি তোমার দুচোখের অভিমানের ঝর্নার সৃষ্টি।
আমি নীল সমুদ্র মন্থনে এনেছিলাম প্রিয় অমৃত সুধা।
কোন সে অভিমানে চলে গেলে এ বেলা।
তুমি ইতিহাসের সেই নুর জাহানের মতই অভিমানী নাকি মমতাজের মত আবেগী।
আমি এনেছিলাম নীল পদ্ম সিন্ধুনদ পেড়িয়ে কৈলাসেশ্বের উপার থেকে।আমি একমুঠো শান্তির পরশ এনেছিলাম নীল নদের মোহনা সেই সুদুর ইথিওপিয়া থেকে।তুমি এতই অভিমানী চলে গেলে বড় অসময়ে। আমায় একা রেখে তোমার এই বিদায় আমাকে সত্যিই ঘরকোনে নিসংঙ্গতায় আবদ্ধ করে দিয়েছে।
তুমি প্রিয় সত্যিই না বুঝার মায়াবী ফলক
আমি একটুখানি দুরে থাকায় পাড়ি দিলে অথেই আজানার পথ।তুমি কি পারবে মুছে ফেলতে স্মৃতি সব।তুমি বড়ই অত্নভোলা নিজেকে এখনোও গুছাতে শিখোনি, হয়তো বাধো নি নীল ফিতায় এলোমেলো চুলগুলো।তুমি সত্যিই বড় বে খায়ালি বড্ড আনমনা চলে যদি যাবে আমায় নিতে সঙ্গে। আমি না হয় সঙ্গী হতাম ডানাহীন বিহঙ্গে।
শৈশব
আমি শুন্যে উড়াই ঘুড়ি,
এক হাতে লাটাই ধরি।
দিন বাদাড়ে ঘুরে ফিরি,
নদীতে দেই ঝাঁপ।
কোনো কিছুতেই ভয় পাইনা দেখে বিচ্ছু- সাপ।
নদী তীরে খেলে কাটে মোর বেলা,
খেলা শেষে ভগ্নমনে ফিরি সন্ধ্যা বেলা।
পাখির ডাকে হয় শুরু আমার প্রভাত,
মায়ের শাসনে পড়তে বসি শিক্ষকের বেত্রাঘাত।
ভাবছি আমার যদি থাকত ডানা,
ঝাউবন থেকে কাশঁবনে ছুটিতে কেউ দিতো না মানা।
আমি দুরন্ত আমি অস্থির সদা,
মায়ের শাসন বাবার বকুনির কাছে হার মানে পৃথিবীর সব ভালবাসা।
পড়াতে আমার মন বসে না যে,
আমি চলি ঝাউবনে দোয়েল পাখির বাসার খোঁজে।