লেখকঃ- ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম

আজ ৫ ই সেপ্টেম্বর ২০২৪, ঠিক আজ থেকে এক মাস আগে, ৫ ই আগষ্ট ২০২৪ একজন অপরিনামদর্শী দুর্নীতি প্রশ্রয় দানকারী ভুল পররাষ্ট্রনীতিক ঢিলেঢালা প্রশাসনিক শাসক তার নির্বুদ্ধিতা গোয়ার্তমির জন্য ছাত্র জনতা ও
আন্তর্জাতিক অসন্তুষ্টির অর্ণব ঢেউয়ের নিচে পড়ে তলিয়ে গেছেন! আমরা খুশি হয়েছি একজন বাংলাদেশের নোবেলজয়ী ডঃ ইউনূসের মত মানুষকে সেই চেয়ারে পেয়ে!

মাত্র এক মাসের মাথায় আশা হত হয়েছি ততটা যতোটা আপ্লূত আহ্লাদিত আনন্দিত উৎফুল্ল হয়েছিলো কিছু জনগন! তারা যা আশা করেছিলেন তা কোন কিছুই দেখতে পান নাই এবং সম্ভাবনা ও দেখছেন না!
দলীয় সরকার থেকে ও বেশী চাঁদা বাজী হচ্ছে, প্রাণের ভয়ে আতঙ্ক গ্রস্হ মানুষ, সংখ্যা লঘূ নিরাপত্তা পায় নাই, দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নাম নিশানা মুছার হোল সেল লাইসেন্স, অপমান, ১৯৭১ এ ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তে রঞ্জনে ও চার লাখ নারীর ইজ্জতে অর্জিত স্বাধীনতা হুমকির মুখে, গতানুগতিক ভারত বিরোধী সুরসুরি দিয়ে সস্তা গরীব অশিক্ষিত ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনগোষ্ঠীকে ধোঁকা দেয়ার প্রবনতা, মিথ্যা প্রপা কান্ডায় সরকার সামিল, ভারতের কবে বাংলাদেশ গ্যাস সরবরাহ করেছিলো তা বন্ধ করলেন, কবে গ্যাস চুক্তি হয়েছিলো, কোন পথে লাইন গিয়েছিলো, সেভেন সিস্টার্স দখল, চিকেন নেক আর একটা জটিল জিনিস ধোঁয়া তুলে জনগনের সস্তা সেন্টিমেন্ট জয় করার প্রবনতা, ভারত বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তর শক্তি, ঘরে আমাদের কয়দিনের চাল-ডাল আছে ভারতের সাথে যুদ্ধাংদেহী মনোভাব দেখানো উপদেষ্টাদের কতটা যুক্তিযুক্ত ? ২০০১ সালে বিএনপির সাথে বিচারপতি লতিফুর রহমান তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর শেখ হাসিনা বলেছিলেন,” মার্কিন নেগোসিয়েশনে ভারতকে যদি গ্যাস দিতাম আমার পরাজয় হতো না”! ইতিহাস ঘেঁটে দেখান এবং জনগন কে অনুগ্রহ করে জানান কে কবে ভারত কে গ্যাস দিলো আর আপনারা তা বন্ধ করলেন? পাকিস্তান পতাকা দেখায় আবার ১৯৭১ এর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের আনসার সংঘবদ্ধের মত পরিবেশ করা উচিত না, আপনি যাদের আপন ভাবছেন তারা আপনাকে পরোক্ষভাবে আপনার বিরুদ্ধে বৃহত্তর জোট গঠনে সহায়তা করছে! ১৯৭১ স্বাধীনতা বলশেভিক বিপ্লব, মা-ও বিপ্লব, ফরাসি বিপ্লব কাল মার্কস থিউরি সঙ্গতিপূর্ন, ৫ আগষ্ট নিয়ে ছাত্রদের সন্তুষ্ট রাখেন বিপ্লব থিউরি তে এনে লেজে গোবরে করলে অন্য পথে দেশ চলে যাওয়ার সম্ভবনা উড়িয়ে দয়া যায় না। পাকিস্তানে এক কেজি আটা ৮০০ টাকা, এক কেজি চাল ৩৮০ থেকে ৬০০ পর্যন্ত আপ-ডাউন, একটা রুটি ২৫ টাকা, একটা ডিম ৩৩ টাকা, তাদের সাথে ব্যবসা বানিজ্য করেন কিন্তু তাদের ফর্মুলা নিয়েন না! জনগনের রোষানলে যে কোন শাসক ভুল পদক্ষেপে পড়তে পারে যে কোন সময়।
জনগণের ইন্টারনেট কানেকশন হাসিনা আমল থেকে উন্নত হয় নাই!

প্রিয় পাঠক, যে লাউ সেই কদু আমরা দেখতে চাই না, অহেতুক ধোঁকা ও শুনতে চাই না!
স্টুডেন্টেস নেতৃত্ব একটা Disposable নেতৃত্ব (পিনাকী ভট্টাচার্য), আমি নিজেই একসময় একটা ছাত্র সংগঠনের সিটি সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম, কমপক্ষে হাজার লোকের মিছিল নিয়ে নেতার সভায় যেতাম। আজ আমি ছাত্র নাই, কে আসবে আমার ডাকে? এ চরম সত্যি টা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা জ্ঞানী গুনি আমার থেকে নিশ্চয় ভালো জানেন!
জনগনের জীবনের নিরাপত্তা দিন, চাঁদাবাজী বন্ধ করুন, সংখ্যা লঘূর নিরাপত্তা দিন, সন্মানিত শিক্ষকদের (প্রাইমারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়) অপমান বন্ধ করুন, গাছে বাধার মত দৃশ্য বিশ্বে ভাইরাল হচ্ছে, এসব পদক্ষেপ পরে ও নিতে পারতেন তবু ও সস্তা হাততালি চাইলে G O মাধ্যমে হাতে চিঠি ধরায় দিন, কাল থেকে ঐ সব শিক্ষক আর ক্লাসে আসবে না! মনে রাখবেন আপনি যে ছাত্র শক্তি প্রয়োগ করেছন ঐ ছাত্র এসব শিক্ষকের তৈরি, কাল কয়েকজন ছাড়া বাকীরা আপনার বিরুদ্ধে ফুসে না ওঠে তাদের শিক্ষক অপমান সহ্য করতে না পেরে। ঢাকা মেডিকেল ডাক্তার ধর্মঘটের মত, আনসার ঘটনার মত চারিদিকে যুদ্ধ ছড়িয়ে দিলে একজন “শেখ হাসিনা” শেষ পলায়ন ইতিহাসে লিপিবদ্ধ না ও হতে পারে!
আপনার উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাহেবের কথিত ২৬ লক্ষ ভারতীয় হাসিনা ভারত প্রীতিতে চাকুরী দিয়েছেন সে সব খুঁজে বের করে ১৯৭১ এর ১৬ ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসে ৯৩ হাজার পাকিস্তান সেনার মত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একত্রিত করুন সেই ২৬ হাজার অবৈধ ভারতীয় এদেশে চাকুরী করা বদমায়েশদের , আমরা দেখতে চাই তাদের চেহারা!!

জাতীয় সম্পদ ধ্বংস যারা শত স্ফূর্ততা নিয়ে করছে তা বন্ধ করুন। গাজী গোলাম দস্তগীরের বিচার করুন কিন্তু তার টায়ার কারখানা দেশের ৪০% রিকসা ভ্যান সি এনসি টায়ার সরবরাহ করতো, কারখানা পোড়ানোতে টায়ারের দাম বেড়ে গেছে, রিকসা ভ্যান সিএনজি চালক আনসারের মত একত্রিত না হয়, প্রবাসী রা ইতিমধ্যে “রেমিট্যান্স সাট ডাউন” আল্টিমেটাম দিয়েছেন, দয়া করে বাংলাদেশে অন্য দেশের পতাকা উড়ানো কঠোর হস্তে দমন করুন, এসব লোক আপনার পরোক্ষভাবে ক্ষতি করছে যা আপনি উপেক্ষা করছেন! আদালতে আসামীকে মারধর উপভোগ যারা করছে আপনি ঐ দলের নন তা আমরা এখন ও ভাবি!আসামির জীবন রক্ষা আদালতে ও হুমকির মুখে, বাংলাদেশে মানবতার মানদণ্ড কোথায় নেমে যাচ্ছে অনুভব করুন!
জাতিসংঘের মানবাধিকার, জয় যেদিকে মানবতা সেদিকে, প্রায় ৩০০ থানা লুঠ হয়েছে, শত পুলিশ মরেছে, পুলিশ মেরে পা উপরে ঝুলিয়ে রেখেছে, শিক্ষক গাছে বেধে রাখা, আদালতে আসামী মারধর, এসব ছবি ভাইরাল, হয়তো কাল না হোক পরশু এসব নিয়ে মামলা হবে, বাংলাদেশে মার্কিন স্বার্থ রক্ষা না হলে – জাতিসংঘের গুতেরেস ঝুলন্ত পুলিশের লাশের পক্ষ নিবেন ——- তারপর তারপর তারপর?

ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন। ধর্ম করেন মানবতা মনুষ্যত্ব অর্জন করে, আল্লাহ মুখোশের নিচের চেহারা দেখেন মানুষ না দেখলে ও! প্রফাইল পিকচার তসবিহ দিয়ে আল্লাহ কে বোকা বানানো যাবে না! কুরআনে কোথাও বলে নাই তুমি কত বড় ধার্মিক তা নিজে প্রচার করো!