প্রিয়াংকা নিয়োগী, কোচবিহার,ভারত।
১৯০৯ খ্রীস্টাব্দে বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ “শ্রীকৃষ্ণকীর্তন” কাব্যের পুঁথি আবিষ্কার করেন।
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য ১৯১৬ খ্রীস্টাব্দে মুদ্রিত আকারে প্রকাশিত হয় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে।
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন থেকে আমরা কীর্তন সম্পর্কে সব জানতে পারি।রাধাকৃষ্ণের মিলনমেলা ও বিষয় আসয় সম্পর্কে জানতে পারি।আর সনাতন ধর্মে শ্রীকৃষ্ণ কীর্তনকে শুধু কীর্তন হিসেবেই ধরা হয়।সনাতন ধর্ম প্রসারে ও সনাতনী ধর্ম পালনের জন্য হিন্দু ধর্মে নিয়মিত কীর্তন পালন করা হয়। এই কীর্তনে রাধাকৃষ্ণের লীলাভূমি পুরাকালে পরিবেশিত হয়।
সেখানে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম,বেড়ে ওঠা থেকে
রাধা কৃষ্ণের প্রেম লীলা পর্যন্ত দেখানো হয় নিজস্ব সুরের কীর্তন গানের মাধ্যমে।এতে প্রভু গোবিন্দকে স্মরণ করা হয়।
শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের নিজস্ব সুর থাকলেও আনুমানিক ইংরেজী ২০০০ বছর থেকে সনাতন ধর্মের কীর্তনের
সুরে বিশেষ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রথম পরিবর্তন আসে।আর তা মূলত লোককে আকৃষ্ট করার জন্য করলেও,তা লোক হাসানোর ক্ষুরাক হয়েছে।ধর্মের টানে কীর্তন শুনতে গেলেও, অনেকের কাছেই এই সুর হাসির খোড়াক।
আসলে ইংরেজী ২০০০ সাল থেকে ২০২৪ সালেও একই নিয়মে পালন হচ্ছে।একই পদ্ধতির প্রয়োগ হচ্ছে। প্রথমে পশ্চিমবঙ্গে শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন বিভিন্ন হিন্দি, বাংলা গানের সুরে গাওয়া হয়েছে।যা হাস্য বোধক হয়েছে।এর কারণ জনসাধারণকে কীর্তনের প্রতি আকৃষ্ট করা।এই করতে গিয়ে শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের সুরকে বিকৃত করা হয়েছে।প্রথমে পশ্চিমবঙ্গের কিছু জায়গাসহ আসামেও হিন্দি,বাংলা গানের সুর নকল করা হোতো।তারপর বাংলাদেশেও এই পদ্ধতি দেখা যায়। এখানো বর্তমান।
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে আমরা দেখেছি
শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের আবিষ্কারক ও আবির্ভাব।
আর এই বর্তমান যুগে দেখতে পেলাম শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের ক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের আসল সুর বদলে অন্য গানের সুর করে অনুষ্ঠান করা।