স্টাফ রিপোর্টার:
আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান দার্শনিক, সমাজচিন্তক ও গবেষক কবি ফরহাদ মজহার বলেছেন, বৈষম্যহীন একটি রাষ্ট্র গড়তে হলে প্রথমে সংবিধান সংস্কার করতে হবে।
৫ নভেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার বিকেল ৪.০০ ঘটিকায়, শ্যামলীর নিজ দপ্তরে রাস্ট্র মেরামত ও সংস্কার প্রত্যাশী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি
এ কথা বলেন। বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান এর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কংগ্রেস এর সভাপতি এ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম, গণমুক্তি জোটের চেয়ারম্যান ডক্টর শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ, কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ এর আহবায়ক মোঃ আসাদুজ্জামান, গণ রাজনৈতিক জোট গর্জো এর সভাপ্রধান সৈয়দ মইনুজ্জামান লিটু, রাস্ট্র চিন্তক এটি এম রফিকুল ইসলাম, লেঃ কর্ণেল অবঃ মোঃ শাব্বির আহমেদ, বাংলাদেশ কংগ্রেস এর মহাসচিব এ্যাডভোকেট মোঃ ইয়ারুল ইসলাম, প্রফেসর ডক্টর শহীদ মনজু, সংস্কৃতজন গোলাম মাওলা, এম আমিনুর রহমান, শাহজাহান সাজু, মোঃ রাব্বি হাসান প্রমুখ।
ফরহাাদ মাজহার গণতন্ত্রপ্রেমী, সংস্কার ও নতুন সংবিধান তৈরীতে বিশ্বাসী ছোট-বড় সকল রাজনৈতিক দলের একটি ঐক্যবদ্ধ প্লাটফরম গঠনে সম্মতি প্রদান করে বলেন, গণতন্ত্র একটি রাষ্ট্রের বিশেষ ধর্ম। এটা রাষ্ট্রের বিশেষ রূপ। গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাষ্ট্র তার কর্মকান্ড সুষ্ঠুভাবে নির্ধারণ করলেই একটি রাষ্ট্র সুচারুভাবে গঠন করা হয়। তিনি বলেন, ১৯৭২ সালের যে সংবিধান তা ছিল পাকিস্তান আমলের, সেই সংবিধান প্রণেতারা সেই সময়ের আলোকে সংবিধান রচনা করেছিলেন। বর্তমানে যে সংবিধানের আলোকে রাষ্ট্র চলছে তা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তৈরি সংবিধান। বৈষম্যহীন একটি রাষ্ট্র গড়তে হলে প্রথমে সংবিধান সংস্কার করতে হবে।
ফরহাদ মজহার বলেন, রাষ্ট্রের প্রত্যেকটা সেক্টরে সংস্কার করতে হবে। জনগণকে রাষ্ট্র ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। সুতরাং দেশের গণতন্ত্র বজায় রাখতে প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে জনগণের অংশগ্রহণ ও সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে হবে। স্ব স্ব ক্ষেত্রে সবাইকে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করতে দিতে হবে।
ফরহাদ মাজহার আরো বলেন।
আমাদের সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদে পরিষ্কারভাবে লেখা আছে, সর্বস্তরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা আমাদের প্রশাসন চলবে। নির্বাচিতদের প্রতিনিধি হচ্ছে জনগণ, আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপির প্রতিনিধি নয়। ডেমোক্রেসি বলতে শুধু পলিটিক্যাল পার্টির ডেমোক্রেসি এটা পৃথিবীর কেউ মানে না।
তিনি আরো বলেন, আমরা কোনোভাবেই কোনো পার্টির একনায়কতন্ত্র চাই না। আমরা জনগণকে চাই, জনগণই ঠিক করবে, জনগণই নীতি বাস্তবায়ন করবে। জনগণই পুরো রাষ্ট্রকে পরিচালনা করবে।
জনগণকে বাদ দিয়ে যাই করবেন, সেটাই ফ্যাসিজম, আপনি আওয়ামী লীগ হন, বিএনপি হন, জাতীয় পার্টি যাই হোন না কেন।
উল্লেখ্য গত ১ লা নভেম্বর ২০২৪ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সেমিনারে ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবকে সফলতা দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে, সংবিধান ও রাস্ট্র সংস্কারে বিশ্বাসী নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত সমমনা সকল রাজনৈতিক দলের একটি শক্তিশালী প্লাটফরম গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হলে কবি ও দার্শনিক ফরহাদ মাজহার এতে সম্মতি প্রদান করেন।