এম.কে.জাকির হোসাইন বিপ্লবী, নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিলেটের কানাইঘাটে ছয় বছর বয়সী শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিন হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। নিখোঁজের ৮ দিন পর ১০ অক্টোবর ভোরে নিজ বাড়ির পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ মুনতাহার গৃহশিক্ষিকা মার্জিয়া আক্তার সুমি ও তার মা আলিফজান বিবিকে গ্রেপ্তার করেছে।
কানাইঘাট থানার ওসি মো. আব্দুল আওয়াল বলেন, মুনতাহার গলায় দড়ি পেঁচানো ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গৃহশিক্ষিকা সুমি ও তার মা হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, পুর্ব শত্রুতার জেরে এবং চুরির অপবাদে ক্ষুব্ধ হয়ে সুমি এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
মুনতাহার চাচা কয়সর আহমেদ জানান, ৩ নভেম্বর রাতে মুনতাহাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ বাড়ির পাশের ডোবার কাদার নিচে পুঁতে রাখা হয়। আজ ১০ অক্টোবর ভোরে মুনতাহার মা আলিফজান বিবি মরদেহটি পুকুরে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন, এবং এলাকাবাসীর সন্দেহে ধরা পড়েন।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে গৃহশিক্ষিকা সুমির বাড়িতে আগুন দেয়। পুলিশ বর্তমানে এই হত্যাকাণ্ডে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।