এম আর হাসান রাব্বী,স্টাফ রিপোর্টার:
সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম শেষে করে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেছেন, সংস্কার একটা চলমান প্রক্রিয়া। তবে এবারের সংস্কার কার্যক্রম এমনভাবে কার্যকর করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে লুটেরা মাফিয়ারা কখনো নির্বাচিত হতে না পারে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর ২০২৪ ) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে গণশক্তি সভা আয়োজিত ‘লুটেরা মাফিয়াদের নেতৃত্ব ও নির্বাচন কমিশন’ সংস্কার শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, গণমুক্তি জোটের চেয়ারম্যান ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ, বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, হিন্দু মহাজোট এর নেতা গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, গণশক্তি সভার পরিচালক সাংবাদিক সাদেক রহমান, গণ মুক্তিজোটের কো- চেয়ারম্যান আখতার হোসেন, বিএলডিপির মহাসচিব মনিরুজ্জামান স্বাধীন, শিক্ষাবিদ ও রাস্ট্র চিন্তক প্রফেসর ডক্টর এ আর খান, ম হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
সভায় মাহমুদুর রহমান মান্না আরো বলেন, ‘আমরা একটা নতুন ও সম্মানের বাংলাদেশ চাই, যেখানে বিশ্ব সভায় আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব। এজন্য লুটেরা ও মাফিয়াদের পরিহার করতে হবে। মাফিয়াতন্ত্র আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়েছে। এর শিকড় উপড়ে ফেলতে হবে। তিনি বলেন, ‘সরকারকে রাজনৈতিক আচরণ করতে হবে। জনগণের ইচ্ছা বোঝার চেষ্টা করতে হবে। সরকারের সংস্কার কার্যক্রমকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
সরকারের সংস্কার কার্যক্রমকে গতিশীল করতে হবে। সরকারকে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছি। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
প্রশাসনকে ফ্যাসিস্ট মুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে সাইফুল হক বলেন, ‘তরুণরা লুটেরাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল বলেই আমরা আজকে লুটেরা মাফিয়াদের কবল থেকে মুক্ত হতে পেরেছি। রাষ্ট্রপতিসহ ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর যারা এখনো প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ঘাপটি মেরে বসে আছেন তাদেরকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।
অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘যে ত্যাগের বিনিময়ে আমাদের এই বিজয় অর্জিত হয়েছে, তার সুফল যাতে দেশবাসী ঘরে তুলতে পারে। সংস্কার কার্যক্রমকে সফল করে বিশ্বের বুকে আমাদেরকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে।’
ড. শাহরিয়ার ইফতেখার বলেন, ‘আমরা বর্তমান রাষ্ট্রপতিকে চাই না। পতিত স্বৈরাচারের দোসর চুপ্পুর রাষ্ট্রপতি থাকার নৈতিক যোগ্যতা নাই। রাষ্ট্রপতির দুর্নীতি সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, তা সঠিকভাবে তদন্ত করে জাতির সামনে হাজির করতে হবে।’ বিপ্লবের চেতনার সকল দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্যে কোন বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেন ডক্টর শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ।
বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান বলেন, সরকারের উপদেষ্টা কারা হচ্ছেন ভাবতে হবে উপদেষ্টাদের অনেকেরই বিগত ১৬ বছরের ভুমিকা যাচাই করলে অবাক লাগে। পতিত স্বৈরাচার নির্বাচন কমিশন সহ সকল জায়গায় কৌশলে নিজস্ব লোকদের পদায়নের আয়োজন অপচেষ্টায়রত আছে। বিপ্লবের চেতনার দেশপ্রেমিক শক্তির উত্থান ঠেকাতে নতুন পুরাতন ফ্যাসিস্টদের মধ্যে ঐক্যের সুর ধ্বনিত হচ্ছে। সকল ষড়যন্ত্র রুখতে দেশপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।