শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:০০ অপরাহ্ন

লালমনিরহাটে সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের রেলভূমি হতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

Coder Boss
  • Update Time : সোমবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৪৩ Time View


আব্দুস সামাদ
লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি:

লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ ময়উপজেলার তুষভান্ডার স্টেশন এলাকা এবং আশেপাশের রেলভূমি হতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে রেলওয়ে ল্যান্ডস্ এন্ড বিল্ডিংস্ বিভাগ।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বাংলাদেশ রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগের আওতাধীন লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার স্টেশন এলাকা এবং আশেপাশের বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন ভূমি হতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন রেলওয়ে ল্যান্ডস্ এন্ড বিল্ডিংস্ বিভাগ।

জানা গেছে, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মোঃ নুরুজ্জামান আহমেদ বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন নিম্ন তফসিলবর্ণিত মৌজা: বৈরাতী, জেএল নং: ২৯, সিএস খতিয়ান নং ১০৫৬, সিএস দাগ নং: ১১২৬/অংশ ০.৩৬ একর রেলভূমি অস্থায়ী কৃষি লাইসেন্স গ্রহণ করে লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গপূর্বক অবৈধভাবে লাইসেন্সকৃত রেলভূমিকে জলাশয়ে রুপানি করে পাকা দেয়াল দিয়ে ঘিরে বিভিন্ন স্থাপনা এবং পার্ক নির্মাণ করেছে এবং উক্ত রেলভূম ঘেরাও করে অবৈধভাবে দখলে রেখেছিল তা রেলওেয়ে ল্যান্ডস এন্ড বিল্ডিংস্ ও বাংলাদেশ রেলওয়ে লালমনিরহাট ডিভিশনাল এস্টেট অফিসের পক্ষ থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে বুলড্রেজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে।

এ উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্বদেন রেলওয়ে ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। এ সময় পুলিশ এবং আরএনবি ও আইন শৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, বিগত ২০১৪ সালের পর সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ক্ষমতার অপব্যবহার করে লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার রেলওয়ে স্টেশনের পাশে থাকা ০.৩৬ একর একর জমি অবৈধভাবে দখলে নেয়। সেখানে তার ব্যক্তিগত অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেন। রেলওয়ে জমিতে একটি বিশাল গোডাউন, পার্ক ও অবৈধ জমিতে বৈধ করতে ধর্মীয় সেন্টিম্যান ব্যবহার করতে পাশে মসজিদ থাকা সত্বেও সেকান একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। নির্মাণ করেন লোক দেখানো আওয়ামী লীগ পার্টি অফিস। রেলওয়ে ভূসম্পত্তি বিভাগ মসজিদটি বাদে সকল অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছে।

আরও জানা গেছে, এসব অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে ২০১৪ সাল হতে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পূর্ব পর্যন্ত সরকারি বরাদ্দ নেয়া হয়েছে। একই অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ, এমপির বরাদ্দ ও উপজেলা প্রশাসনের বরাদ্দ নিয়ে করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102