জলের আড্ডার কলকল শব্দ ধ্বনি,
একাকার সে সুরে শৈশবের ডাক শুনি।
হোক সে ছলনা,তবুও এক আত্মতৃপ্তি।
হোক সে উপমা,তবুও এক স্মৃতিময় দীপ্তি।
জলের ধারায় মধুমায়া,
জলের উপর মনের ছায়া।
আমি ছুটে যাই শান্ত নদীর ডাকে,
যেথায় বনলতার গুল্ম মেশে বনের শাখে।
আমি ছুটে যাই চিরচেনা স্নেহের সে ডাকে।
ঘাসের সবুজ গালিচা যেথায় দিগন্তে মেশে।
আমি আনমনে হাসি, যেথায় সংকর
শিশুর দল খিলখিলিয়ে হাসে।
নবজাতকের হাই তোলা ঘুমের দেশে,
মিশে যাই তার তুলতুলে নিঃশ্বাসে।
শহুরে কংক্রিটের শোরগোল ঠেলে,
আঁচল পাতি সূদুর অতীতের আশ্বাসে।
বুনো সুখ ফুলের সুঘ্রাণে মিশে যাই সেই,
চিরচেনা আবহমান বাংলার বিশ্বাসে।
স্নিগ্ধ সুধা সমীরণে,ভালোবাসি বাংলা তোমায়,
নিঃস্বার্থ প্রলভনে,নিঃশ্বাসে বিশ্বাসে।