মোঃ মোকাদ্দেস হোসাইন সোহান, সিরাজগঞ্জঃ
সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় প্রতি বছরের ন্যায় এবছর আশানরুপ বরো ধান গোলায় তুলেই অল্প পরিশ্রম ফলন ভালো ও অধিক লাভের আশায় ভুট্রা চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন ওই উপজেলার ১২ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার কৃষকেরা।সরেজমিনে দেখা যায় উপজেলার সোনামুখি ইউনিয়নের হাটসিরা গ্রামে রাস্তার দুধারে রোপনকৃত সারি সারি ভুট্রা গাছ বিস্তন্ন মাঠজুরে সবুজের চাদরে ভরে উঠেছে।।উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের গাছাবাড়ি গ্রামের কৃষক মোঃ জেলহক হোসেন মোঃ শুকুর আলী মোঃ আব্দুর রহমান মোঃ আজাহার আলী জানায় ভুট্রা চাষে অল্প পরিশ্রম ফলনও ভাল হয়। তাছাড়া আমরা অধিক লাভের আশায় নিজেদের প্রায় ৪০ বিঘা জমিতে এবছর ভুট্রা চাষ করছি। এ সময় তারা আরো জানান, ধানসহ অন্যান্য ফসলের চেয়ে ভুট্রা চাষে লাভ বেশি। অপর দিকে ভুট্রা চাষে পরিশ্রম ও খরচ কম তাই এমন ফসল ফলাতে কৃষক আগ্রহ শীল। আবহাওয়া তাপমাত্রা স্বাভাবিক বা অনুকুলে থাকলে সঠিক পরিচর্যায় মাত্র চার মাসেই জমিতে থেকে উত্তলন করা যায় এই ভুট্টা। বছরের অগ্রহায়ন মাসে জমিতে হালচাল করে জমির মাঝ বরাবর রশি টানিয়ে সারিবদ্ধ ভাবে ভুট্রা বীজ রোপণ করা হয়। সঠিক পরিচর্য়া মাধ্যমে চৈত্রর কাঠফাটা রোদে সোনালি রংঙের ভুট্রা গাছ থেকে এ ফসল সংগ্রহ করা হয়। পাশাপাশি ভুট্রা সংগ্রহের পর ওই শুকনা গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। কাজিপুর উপজেলার উপসহকারী মোঃ
মাহমুদুল আলম জানান, বিগত বছরের তুলনায় এবছর কাজিপুর উপজেলায় প্রায় অধিকাংশ কৃষকগন জমির ধান কর্তনের পর পরই তারা অধিক লাভের আশায় নিজেদের জমিতে ভুট্টা চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে। ধানের চেয়ে ফলন ভাল এবং বর্তমান বাজারে ধানের মুল্যের চেয়ে ভুট্টা চাষ করে অর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ায় ভুট্টা চাষে ঝুকে পড়েছে কৃষকেরা। তিনি আরো জানান,প্রতিবছর অগ্রহায়ণ মাসে মৌসুমের শুরুতে কৃষকেরা জমিতে ভুট্টার বীজ রোপন করে থাকে এবং চৈত্র মাসে এই ভুট্টা কর্তন করে বাজারজাত করে থাকে। এছাড়া ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘা জমি থেকে ৩৮/৪০ মন শুকনা ভুট্রা বাজারজাত করা যায়। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, কাজিপুর সদর একটি পৌরসভা ও কাজিপুর উপজেলার ১২ ইউনিয়নের নদীর পূর্ববর্তী ৬ টি ইউনিয়ন তথা নাটুয়াপাড়া, তেকানী,নিশ্চিতপুর, মুনসুরনগর,খাসরাজবাড়ি, চরগিরিস এবং বীর অঞ্চলের সোনামুখী,চালিতাডাঙ্গা, মাইজবাড়ি,মেঘাই,গান্দাইল ও শুভগাছা ইউনিয়নের প্রায় ৯ হাজার ৩৬৯ হেক্টর জমিতে ভুট্রা চাষের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকেরা অধিক লাভের আশায়
ভুট্রার চাষের লক্ষ মাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে এবছর ভুট্রার চাষ করেছে বলে জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন,আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকগন সঠিক ভাবে পরিচর্যায় এ বছর ভুট্টায় কাঙ্ক্ষিত ফলনের চেয়ে বেশি ফলন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।