কলমেঃ মায়া পারভীন
=============
শান্তি গুলো ক্লান্ত হয়ে
হারিয়ে গেছে বহুদূরে,
অশান্তি গুলো ভিড় করে
এই ভাঙ্গা হৃদয় জুড়ে।
বুকের মাঝে দুঃখের পাহাড়,
কেউ দিল না সরে,
নিত্য ব্যথা,নিত্য দিন
খাচ্ছে কুরে কুরে।
কোন এক দিন এই অভাগী
খুঁজে পেলো না
শান্তি,সুখের মুখ,
এই কপালে লেখা ছিল
লক্ষ কোটি দুখ।
কতো কথা বুকের মাঝে
বাজে করুণ সুরে,
মনের কথা মনের মাঝে
সারাটি জীবন ধরে।
দিনের পরে দিন ফুরালো
পেলো না শুভ দিন,
অভাগীর নিত্যদিনী
হৃদে বাজে,
করুন সুরের বীন।
তারার সনে বলতে কথা
এই মন যে চায়,
অধিক রাত জেগে থেকে
তারার খবর নাই।
আকাশ ভরা মেঘে ঢাকা
চাঁদের হাসি কই,
আঁধার রাতে কথা বলি
জোনাকির আলোয়।
ঝিরিঝির বৃষ্টি ঝরে
হেনা দুলে ওই,
শিউলির গন্ধে হৃদের ব্যথা
কেমনে গেল কই।
পূব দিগন্তে রবির কিরণ,
কাশফুলের গায়,
শরৎকন্যা ডাক দিয়েছে,
পাখিরা ফিরছে কুলায়।
শ্বেত সুন্দরী হেলে দুলে
দূরের কোন গাঁয়,
তারি ডাকে মনটা যে মোর
ফিরে ফিরে চায়।
ওই গাঁয়েতে মনটা ডাকে
হিজল তমাল ধায়,
বকের সারি,হংসমিথুন,
শাপলা শালুক,পান
কৌড়ি যেথায়।
ওই খানে ছিল একটি
শান্তি সুখের ঘর,
সে ঘরে বাস করত অভাগী
কেউ ছিলনা পর।
শত ব্যথায় কাতর হয়ে
খুঁজে আপন জন,
সুসময়ে ছিল অভাগীর
স্বার্থপর সব স্বজন।