চাওয়া পাওয়ায়
কি শুকরিয়া করব আদায়
যা দিলেন মহান রব আমায়
সাধ্যহীন নি:স্ব রিক্ত শুন্যতায়।।
পেলাম খেলাম গঠন করলাম জীবন
কোথা হতে কার ইশারায় হল গঠন
ভাবলে গভীর চিন্তনে দেখি পেয়েছি দয়ায়।।
অগণিত রহমত অসংখ্য নেয়ামত করলেন দান
ছিলাম কি হলাম কি সবই তাঁর অনুদান
আমিত্বের অহংকারে এতো পেয়ে ভুলছি দুনিয়ায়।।
হিসাবের বেলা হবে শুধু জ্বালা পড়ে মোহে
জবাব নাই বাক্য হারাই পড়বে ফুসকা দেহে
রেহাই কেমনে ঘোর নিদানে না থাকলে ছায়ায়।।
শুধু ভাবনা যত শত যাতনা করে নিও ক্ষমা
সন্তুষ্টি দেবার নাই ক্ষমতা আমার দিও দাড়ি কমা
এ আশাতে এক দৃষ্টিতে হিসাব মিলে চাওয়া পাওয়ায়।।
নিও গো ভালবাসি
আমার দোষে আমি দোষী
লোভ হিংসা করেছি বেশি।।
কেমনে দোষ দেবো অন্যরে
অধম জেনে উদ্ধারিও মোরে
রহমান রহিম নাম রয়েছ প্রকাশি।।
সাধ রয়েছে সাধ্য নাহি
ভুলে ভুলে গান গাহি
সঠিক দিশা হারা হলাম আসি।।
করবো করবো বলে অবহেলায়
দিনমান খোয়ালাম আশার আশায়
বেলা শেষে ডুবছে সূর্য রশি।।
তাগিদ সর্বত্র সত্য বলার
জেনেও আশ্রয় নেই মিথ্যার
ক্ষমা ছাড়া নাহি নিস্তার নিশ্চিত ফাঁসি।।
বিনয় করে ডাকি তোমায়
মায়ের কোলে সন্তান ঘুমায়
সে শান্তনা চাহি নিও গো ভালবাসি।।
হিংসার অনলে
মরে জ্বলে পোড়ে হিংসার অনলে
অন্যের ভাল সহ্য হয় না, ডুব দেয় অথৈ জলে
কাকে ময়ুরের পেখম ধরে।।
হামবড়া ভাব আর আমিত্বে মন মজাইয়া
জল খায় শুধু অন্ধত্বে ডুবিয়া
শেষবেলা ঘিরে আঁধারের গোলমালে।।
ঠগার ধান্ধা পদে পদে
বিবেকে না তার বাঁধে
খাই পাই খাই পাই ভাসছে জলে।।
এক ধান্ধায় নিমজ্জিত মনে প্রাণে
আমিত্বের স্বভাবে মগ্ন কেন অন্যে
করে হচেছ বড়, সে থাকছে সবার তলে।।
সৃষ্টির স্রষ্টা যারে দেবে সম্মান
হিংসা করে কেমনে করবে অপমান
ঘৃণায় ফল আসে উল্টো তালে।।
তবু থাকে সুস্থির
বুকে নদী যে জল ধরে
বয়ে নিত্য যায় সাগরে
সে জলই ভাঙ্গে দু’তীর।।
বুকে যে প্রেম ধরে রাখি
সে প্রেমই ঝরায় আঁখি
ব্যথার পাহাড়জমায় হয়ে স্থির।।
আপন জেনে বুকে যারে
ঠাই দিলাম মরু প্রান্তরে
সে-ই সদা বহাল তপ্ত নির।।
যারে ভেবে কাটাই দিবানিশি
আগুন জ্বালায় সেই হাসি হাসি
এতো কঠিন পাষাণী তবু থাকে সুস্থির।।