কলমেঃ বেলায়েত বাদল
সব পোলাপাইন মাথা নিচু করে যার যার গেম খেলে,
ঘাড় উঁচু করে দেখেনা কখনো হাতিটাও হেঁটে গেলে।
শিশু ভাত খায় যদি হাতে পায় টম এন্ড জেরি খেলা ,
বদমেজাজে বদহজমে না চিবিয়ে হয় গেলা!
চারজন যদি থাকে পরিবারে পেরেন্টস পুরানো ছবি,
ছেলে টুইটারে, চ্যাটিংএ ব্যস্ত ছোট মেয়ে পল্লবী।
খাবারের ক্ষণ গিয়েছে কখন রাত্রি দ্বিপ্রহর,
ট্যাগ পোক করে মাথাব্যাথা উঠে সকালে বাবুর জ্বর।
সেই প্রেম আর নেই কোথাও চিঠি লেখা যুগ শেষ,
ভিডিও কলে সব কিছু খুলে দেখালে খোঁপার কেশ,
কন্ট্র্যাক করে ঠিক টাইম ধরে ডেটিংয়েতে রমনায়,
ঘুরে প্রভাতে হাত রেখে হাতে রজনীতে বিছানায়।
এই রজনীর পরে তুমি তার সজনী রইলা কই?
ব্লক করে দিয়ে থার্ডজন নিয়ে হিতানে খাচ্ছে দই!
কোথা হারাল বিদেশী স্বামীর পত্র প্রতীক্ষা,
ফকিরের আছে ফকিরি কার্ড মোবাইলে করে ভিক্ষা!
হাঁটেনাতো কেউ খাটেনা গতরে পুরো দেশ বসে থাকে,
হার্ট, নিউরো, কিডনী, প্রেসার, ডায়বেটিককে ডাকে।
মতি মিয়া ডেকে ফুলমতিকে, ‘শোনহে সোনার চাঁন,
তোয়ারতো দেহি চোখ চলি গেছে মোর বয়রা কান!’
মর্যাদা দান, মান-সম্মান, ব্যক্তিত্ব কিছু নাই,
চেহারা, সময়, চরিত্র ধ্বংস করিল ওয়াইফাই।
সরকার যদি এই দিকটায় না-করে নজরদারী,
জাতি ছাড়খাড় আমজনতার হাসপাতাল হবে বাড়ি।