কলমেঃ দেবিকা রানী হালদার।
আমি জীবন পথে কোথায় তোমায় খুঁজি
মনোকষ্টের ভাবনায় কিছু না পাই,
আমায় ফেলে কোন দূরে এই হেমন্তের বর্ষায়
পেয়োছো কি কামরূপখায় কোন রাই?
গাছের ডালে ডালে ভিজা কাক, ঈগল, কতো বিহগ
জোড়ায় জোড়ায় সিক্ত পালক তবু খুনসুটি তে মেতে আছে,
আমি আছি উদ্বিগ্ন অস্থির একাকিত্বে মনো কষ্টে
হারিণী বিহ্ববল ভীত, হারাই তোমায় পিছে ?
কতদিনের ইচ্ছে ছিলো একসাথে ভিজবো দু’জন ছাঁদে
শীতের জুবুথুবু আঁচলে মুছে দেবো বৃষ্টি সিক্ত মাথা,
ধোঁয়া ওড়া কফি খাবো ঘরে ফিরে শুয়ে যাবো বিছানায়
দু’জনে একসাথে শীত নিবারনে গায়ে দেবো একই কাঁথা!
সকালে আবার হাটবো রাতের বৃষ্টি স্নাত বাইগার গাঙকূলে
নদীর পাড় ঘেষে হোগলা বাগান মাছরাঙা বসা আনমনে,
হাঁটতে হাঁটতে জীবন বাঁকে কতো রাম কতো অসুরের মেলে দেখা
দু’পায়ে ভর, মুখোশের মানুষ, জীবন ভর থাকবে মনে দেখা হয়েছিলো ইবলিশের সনে!
এমনি প্রেম ভালবাসা মানব জীবনে অসুরা সুর কভু বাজে
সব ধুয়েমুছে দেয় হেমন্তের বৃষ্টি
নবান্ন প্রতি ঘরে ঘরে ধান মাড়াই আঙ্গিনা উঠানে
এ-তো সেই মহাবিক্রম শালীর আদম ইবলিশ এক সাথে, গোলাপ বাগানের সাথে গেরিলার সৃষ্টি!
সব কি ধুয়েমুছে দিতে পারে হেমন্তের বৃষ্টি?