কবিতার ইচ্ছে
বেঁধো না কোন শৃঙ্খলে আমায়,
বেঁধো না কোন দাসত্বে,
বেঁধো না কোন শব্দসীমায় আমায়,
বেঁধো না কোন আবেগে।
উড়তে দাও আমায় মুক্ত আকাশে,
উড়তে দাও ইচ্ছে মত,
উড়তে দাও আমায় কল্পনার জগতে,
উড়তে দাও, পারি যত।
থাকতে দাও আমায় মুক্ত চিন্তায়,
থাকতে দাও মুক্ত মনে,
থাকতে দাও আমায় পরিবর্তনশীলতায়,
থাকতে দাও সবার সনে।
ওঠো ওঠো সব হাতটা ধরি,
সামনে এগিয়ে চলে,
দেখুক সবাই,জানুক সবাই,
কবিতার ইচ্ছে’রাও কথা বলে।
ইতিহাসে
রাতের অন্ধকারে গা ঢাকা দিতে চায়,
কালো ঘটনার দিনগুলো,
কিন্তু ইতিহাস!সে তো সাক্ষী,
ল্যাম্পপোস্ট সম প্রত্যক্ষদর্শী।
সময়ের কাছে তার আর্জি,
“সুবিচার চাই, শাস্তি চাই ”
সে তো ক্ষমা করতে জানে না,চায় ও না,
আপোসহীনতায় সদা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
প্রভাবশালী’রা প্রভাব খাটায়,
অর্থবান’রা জোগায় অর্থ,
ইতিহাস’কে বদলে দিতে চায়,
নিজেদের অপরাধ ঢাকতে।
সময়ে সময়ে চাপা ও পড়ে যায়,
নিরীহ’দের হাহাকারের আর্তনাদ,
অশ্রুকণায় সিক্ত বোবা কান্নাগুলো তখন,
জমে পুঞ্জীভূত হয় নিরেট শীলায়।
দেবতা ও বিজ্ঞান
দেবতা আছেন মন্দিরেতে,
আমরা যাই সেথা,
আল্লা আছেন মসজিদেতে,
হন্যে-খোঁজাই বৃথা।
গড্ আছেন গীর্জাতে যে,
আশীর্বাদ দেওয়ার তরে,
সবাই আছেন যে যার স্থানে,
কৃপা করার তরে।
বিজ্ঞান আছে নিজের স্থানে,
যেতে হয় না কোন যানে,
আশীর্বাদরুপে তাকে দেখা যায়,
নিযুক্ত সে মানব সেবায়।
চাহনি
তোমার চাহনি’র গভীরতায়,
লুক্কায়িত থাকা শব্দ লিপি,
হৃদিতে কম্পন তোলে,
অনুভূতিতেই কেবল মাপি।
লিপিকামালার সাজানো চিত্র,
আবেগে বাকরুদ্ধ করে,
অভিমানী মন ও নীরবে কেমন,
অবশ হয়ে পড়ে।
বলতে চাওয়া কথা,না দেখার ব্যথা,
নিমেষে যায় যে উড়ে,
খালি মনে হয় আবদ্ধ’ই থাকি,
তোমার চাহনি’র পরে।
সময় ও এগোয়,অরুণোদয় ও হয়,
অতীত ও হবে এই ক্ষণ,
ভাবি মনে মনে ,সদা কি রবে,
একসাথে দু’টি মন!