সাইফ উল্লাহ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সকল স্থরে শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বানে শান্তিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে মত বিনিময় সভা করেছে শান্তিগঞ্জ পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ বৃহস্পতিবার সকালে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে শান্তিগঞ্জ পয়েন্টে পিএফজি ও শান্তিগঞ্জ থানার উদ্যোগে শান্তিগঞ্জ পয়েন্টে সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো. ফজলে রাব্বী চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও শান্তি গঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক পিস এম্বাসেডর জিয়াউর রহমান জিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট এমআইপিএস প্রকল্পের এরিয়া কো-অর্ডিটের নাজমুল হুদা মিনা।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শান্তিগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হোসনে আরা খাতুন, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিমা, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. সেলিম খান, উপজেলা সমবায় অফিসার মোহাম্মদ রুহুল হাসান, শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আকরাম আলী, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি সিরাজ মিয়া, ধর্মীয় নেতা জিয়াউর রহমান, পিস এ্যাম্বসেডর সুরঞ্জিত চৌধুরী টপ্পা, হারুন মিয়া, পিএফজির সমন্বয়কারী দোলন রানী তালুকদার, শান্তিগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি আবু সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক, পিএফজি সদস্য জিয়াসমিন, নাজমা, শেপালী, খোরশেদা, আলেয়া,সৈয়দ আলম, জয়ন্ত তালুকদার, বদরুল আলম টিপু, শিউলী, কাজলী হিজরা, দিলিপকুমার দাস, হাবিবুর রহমান প্রমূখ।
সভায় বক্তারা বলেন, এ কাজটি সময়োপযোগী। সকলকে এ কাজে সহযোগিতা করা দরকার আমরা প্রশাসেনর পক্ষ থেকে এ কাজকে স্বাগত জানাই এবং সব সময় সহযোগিতার জন্য আশ্বাস দিচ্ছি।
সভাপত্বির বক্তব্যে সহকারী কমিশনার ভূমি ফজলে রাব্বী চৌধুরী বলেন, সবাই শান্তি, শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্টেক হোল্ডার আপনারা। এ প্রজেক্টের সাথে যারা যুক্ত আছেন তারা যেনো স্কুল কলেজ পর্যায়ে এ বিষয়গুলো পৌছে দেওয়ার জন্য কাজ করেন। এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ে সকল জাতির মানুষকে উপস্থিত রেখে এ তথ্য পৌছে দিতে হবে। তাদের বুঝাতে হবে সংঘাত সংঘর্ষে কোনো লাভ নাই। যদি এ উপজেলার কোনো এলাকায় সংঘাত সংঘর্ষ হয় তাহলে পিএফজির লোকজন সবার আগে এগিয়ে আসবে বলে আমি মনে করি এবং আপনাদের অনুরোধ করছি এতটি কানেক্টিভিটি তৈরি করতে হবে যেখানে সংঘর্ষ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা হবে সেখানে আপনারা যাবেন এবং সংঘর্ষ বন্ধ করার জন্য কাজ করবেন।
বক্তারা বলেন, আমাদের মধে্য সম্প্রীতি নষ্ট হলে শান্তি থাকে না। আমাদের সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। বিভিন্ন জায়গায় বাজার, মসজিদ ইত্যাদি জায়গায় যদি আমরা এ বিষয়টি সাধারন মানুষের ভিতর ছড়িয়ে দিতে পারি তা হলে কাজ হবে।
আমরা এ দেশে জন্ম গ্রহন করেছি, এ দেশে থাকবো। তাই আমরা যাতে শান্তিতে বাস করার জন্য চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। পিএফজি তে বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ আছে তার মানে সহনশীলতা আছে। এ সম্প্রীতি থাকবে যদি আমরা পলিটিকাল ডায়লগ থাকে এবং ধর্মীয় ডায়লগ যত বেশি করতে হবে। যেনো, যাই হউক আমরা দেশের ব্যপারে এক হতে পারি। আমি এই কার্যক্রমকে ধন্যবাদ জানাই।
শান্তিগঞ্জ থারান ওসি বলেন, সম্প্রীতি বলতে আমরা ইদানিং সাম্প্রদায়িক বিষয় নিয়ে কথা বলছি, অথচ আমাদের মুসলমানদের ভিতরও সম্প্রীতির অভাব দেখা দিচ্ছে। মনে হচ্ছে এর ভিতর ষড়যন্ত্রকারী থাকতে পারে। আপনাদের এর রুটে যেতে হবে এর মনস্তাতি্বক কারন নিয়ে কাজ করতে পারে। আপনাদের বীজ শুদ্ধ করার কাজ করতে হবে যারা স্কুল, কলেজ অথবা মাদ্রাসায় কাজ করতে হবে। ওখান থেকে তাদের মানবিক করতে হবে। আপনাদের অভিনন্দন এবং কামনা করি আপনারা সফর হন। আপনারা আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখবেন, তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করবেন, আমরাও আপনাদের সহযোগীতা করবো।
বিকেলে শান্তিগঞ্জ পয়েন্টে, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও জাতিগতসহিংসতা পরিহার করে এবং আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বানে শান্তিগঞ্জ পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রপ পিএফজি ও সাম্প্রদায়িত সম্প্রীতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে শান্তিগঞ্জ থানার উদ্যোগে সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম আলী সহ রাজনৈতিক দলের সদস্য, ধর্মীয় নেতা, পিএফজি সদস্য ও সাধারণ মানুষ বক্তব্য রাখেন।