এই বয়সটার মজার ব্যাপার হলো, মন খারাপ থাকলেও কেউ চট করে ধরে ফেলতে পারে না। কান্নায় ফুলে যাওয়া চোখ জোড়াকেও কোনো একটা বাহানায় চাইলে এড়িয়ে যাওয়াই যায়। অসহায় ভারী কন্ঠ? সে তো বাঁ হাতের তুড়ি। ওই তো, ঠান্ডায় গলা বসে যাওয়ার অজুহাত।
মেঘ যেমন সূর্যকে আড়াল করে রাখে। তেমনি এই বয়সটায় ‘মিথ্যে হাসি’ নামক অপ্রত্যাশিত বস্তু বা যা-ই বলা হোক না কেন একে তা দিয়েই যাবতীয় মন খারাপ, যন্ত্রণায় ছিঁড়ে যাওয়া মাথার অসুখ, বুকের কান্না, হতাশা, বিচ্ছিরি দীর্ঘশ্বাস…. সবটা ঢেকে দেওয়া যায়। খুব গভীরভাবে না তাকালে চট করে ধরে ফেলা যায় না একদমই। আর গভীরভাবে তাকানোর সময়? সে তো কারোর হাতেই থাকে না। তাই কেউ ধরে ফেলতেও পারে না। আমরাও বেঁচে যাই হাজার খানেক ছুঁড়ে দেওয়া প্রশ্নের তীর থেকে। কারণ এই বয়সটায় যে কান্না করা ভীষণ বারণ। তা-ও অন্য কারোর সামনে।