আনোয়ারুল কবির বাবলু।
সিন্ধুর বুকে বিন্দু খুঁজে ক্লান্ত জল যাত্রী
স্বচ্ছ আকাশে দুধ পূর্ণীমার উজ্জ্বল আলো, তবু অন্ধকার রাত্রী।
কালবৈশাখী ঝর, ইশাণকুনে অন্ধকার মেঘ, নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে প্রাণী কুল
আশায় বাঁধিয়াছি যে ঘর, ভাঙ্গিছে আপনপর, বুঝিলাম শেষে সবই ছিল ভুল।
শান্তি চাই, নিরাপদে চলতে চাই, স্বাধীন ভাবে বাঁচতে চাই
বাঁচতে বাঁচতে মরে গেলাম, রক্ত দিয়ে রাজপথ লাল করলাম, ফিরে দেখি যা ছিল তাই।
আমার স্বাধীনতা আমাকে ফিরিয়ে দাও,
তোমাদের কল্পিত মনোবাঞ্ছা তোমরা পুরন করে নাও।
আমি চাইনা এমন স্বাধীনতা, লাশ আর লাশ, রক্তে ভেজা ফসলের মাঠ
আমি দেখতে চাইনা ঝুলন্ত লাশের সার্কাস, মানুষের বুকে বন্দুকের বাট।
এ কেমন স্বাধীনতা, লাঞ্ছিত আজ শিক্ষা গুরু, ধর্ষিত জাতির বিবেক
শিক্ষার্থীরা আজ উশৃংখল, ধ্বংসের আলামত, মানুষ তোরা কবে হবে, নয়তো ইহা আবেগ।
জন্মদাতা পিতা মাতা জান্নাতের ক্ষেত
আদর্শ মানুষ হতে খুব, খুব প্রয়োজন শিক্ষকের শাসনের বেত।
পুথিগত বিদ্যা আছে, কারিকারি আছে সার্টিফিকেট
শিখে নাই তারা নীতি নৈতিকতা, শিখেছে বিড়াল মানে কেট।
মনোষত্বহীন বস্তাপচা সার্টিফিকেট ধারী বসে আছে রাষ্ট্রের উচ্চ শিখরে
এরাই ঘুষখুর দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারী দেশকে ধ্বংস করে।
চাইনা এক পক্ষের স্বাধীনতা, চাইনা মানবতাহীন মানুষ
মানুষ হবে মানুষের জন্য, মানুষ যেন না হয় ফানুস।
অন্ধকারে গন্ধ ছড়াবে হাসনাহেনা, দুর হউক সব জঞ্জাল
আমি চাই ভোরের আলো ঝলমলে শিশির সিক্ত একটা ফুটন্ত সকাল, ফুটন্ত সকাল।