এম.কে.জাকির হোসাইন বিপ্লবী।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের সম্মানীত আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান বাংলাদেশের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত শ্রেষ্ঠ নেয়ামত। আর একটি দেশে আল্লাহ তায়ালা নেয়ামত হিসেবে শ্রেষ্ঠ মানুষকে প্রেরণ করে থাকেন, যখন সেই দেশে আল্লাহ তার মনোনীত বিধানকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। এমনি একটি দেশ, প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ। যেই দেশটিতে অতিৎ ইতিহাস থেকে বর্তমান পর্যন্ত আল্লাহ প্রিয় কিছু বান্দার আবির্ভাব হয়েছে বলে জানা যায়। সারা বিশ্বের কাছে ৩৬০ আউলিয়ার বাংলাদেশ নামে পরিচিত। অনেক আলেম ওলামা এদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব এবং আল্লাহ প্রদত্ত রাজ কায়েমের চেষ্টা করতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন। সেই ৩৬০ আউলিয়ার সরদারে ওলি হযরত শাহজালাল (রহঃ) এর পুণ্য ভূমি সিলেটের মা ও মাটির গর্বিত সন্তান আমিরে জামায়াত ডাঃ শফিকুর রহমান।
আমি জীবনে অনেক নেতা দেখেছি, অনেক আলেম ওলামা দেখেছি, অনেক নেতাদের গল্প ইতিহাস পড়েছি। কিন্তু আমিরে জামায়াতের মতো মহৎ নেতা কেবলমাত্র আল্লাহর রাসূল এবং সাহাবীদের আদর্শকে বুকে ধারন করলেই হওয়া সম্ভব। মাজলুম জনতার প্রীয় রাহাবারের অমায়িক আচরন দেখে মুগ্ধ হচ্ছে সারা বিশ্ব। সাধারণ জনতার মুখে জয়ধ্বনি শুনা যাচ্ছে।
যেখানেই অসহায় জনতার আর্তনাদ,সেখানেই আমীরে জামায়াতের আবির্ভাব। মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সকল অসহায় বঞ্চিত মানুষদের দিকে। অন্যহীন কে অন্য বস্ত্রহীন কে বস্ত্র আর বাসস্থানহীনকে দিচ্ছে বাসস্থানের ব্যাবস্থা করে। গত ৮২ বছর ধরে দেশ এবং জাতির স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে প্রীয় দল শহিদি কাফেলার প্রতিটি নেতা কর্মী। সত্য প্রচারে হাসিমুখে বিলিয়ে দিচ্ছে নিজের জীবন। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে প্রীয় শহিদি কাফেলার সৈনিকদের কে ভিবিন্ন কৌশলে বাকরুদ্ধ করে রাখার পরেও বাতিলরা পরাজিত হয়েছে জামায়াতে ইসলামের আদর্শের কাছে। এদেশের প্রতিটা দল জামায়াতে ইসলামিকে নিজেদের স্বার্থে ব্যাবহার করেছে। জামায়াতের আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দদের বিচারের নামে হত্যা আর নেতা কর্মীদের নামে অগনিত মিথ্যা মামলার পরেও, বাতিল শক্তিরা জনগন থেকে বিচ্ছিন করতে ব্যার্থ হয়েছে।
শত জুলুম নির্যাতনের পরেও প্রীয় আমীরে জামায়াত প্রতিটা কর্মীকে মানবতার সেবায় নিজেদের নিয়োজিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে। কারা নির্যাতিত নেতার মুখে বিজয়ের হাসি দেখে অবাক হতো দেশের মানুষ। চারিদিকে পুলিশ পাহারায়, রিমান্ডের নামে অমানবিক নির্যাতন,নিজের কলিজার টুকরা সন্তানকে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় কারাবন্দী দেখেও লক্ষ্য থেকে বিন্দুমাত্র পিছপা হয়নি প্রীয় নেতা। বরং দেশ এবং জাতিকে বলেছের ধৈর্য্যের সাথে জুলুমের মোকাবেলা করতে হবে।দিনের পর দিন কারা নির্যাতিত হওয়ার পরেও বাতিলরা কেড়ে নিতে পারেনি নেতার মুখের হাসি।
মাঝে-মাঝে আমার মনে হয় আমীরে জামায়াতের আবির্ভাব হয়েছে জনতার কষ্টের ভাগিদার হওয়ার জন্য।কারন আমি দানবীর সাহাবী হযরত উসমান (রাঃ) এবং উনার সহযোগীদের দেখিনি। কিন্তু আমি হযরত উসমান (রাঃ)চেতনায় উজ্জীবিত সৈনিক প্রীয় রাহাবার আমীরে জামায়াত কে দেখেছি।আমীরে জামায়াতের মাঝে উসমান (রাঃ) প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। ডাঃ শফিকুর রহমান সাহেবের মতো একজন আমীর এবং নেতা পেয়ে গর্বিত জামায়াত শিবিরের প্রতিটা কর্মী,গর্বিত বাংলাদেশের প্রতিটা নাগরিক। দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা যেনো প্রীয় রাহাবারকে নেক হায়াত দান করে দেশ এবং জাতির স্বার্থে ধৈর্য্যের সাথে কাজ করার তৌফিক দান করেন।আমিন
এম.কে.জাকির হোসাইন বিপ্লবী।
কবি সাহিত্যিক ও সাংবাদিক ঢাকা- বাংলাদেশ।