এসএম মনিরুজ্জামান আকাশ।
কনে দেখতে গিয়েছিলাম বিয়ে করব বলে-
হয়নি লেখা বিয়ে-সাদী ব্যর্থ এ কপালে,
অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হলো কনে দেখার প্রতি-
কেমনে মানতে হয় যে কনে দেখার রীতি-নীতি।
কনে এসে সামনে বসে নাস্তা পানি গ্রহন শেষে-
বড় করে সালাম দিয়ে মুখো-মুখি বসে,
প্রশ্ন হয় চালা চালি নাম ধাম হয় জানা-
ভালো লাগা; মন্দ লাগার মাঝে হয় আলোচনা।
হলে পছন্দ কথা নেই; না হলে বোঝা পড়া-
ভেবে-ভেবে প্রেমিক মন যে হয়ে যায় ছন্ন ছাড়া,
বাড়ী গিয়ে পরে জানাবো এ কথা বলে-
পাত্র পক্ষ কথার প্যাচে সেখান থেকে আসে চলে।
অনেক ভেবে চিন্তে স্হির করে এ কাজ হবেনা-
ওখানে বিয়ে হলে আমাদের মান-সম্মান রবেনা,
খোঁজো মেয়ে ভাল ঘরের এ চেয়ে ঘর ভালো-
আনবো আমরা সুন্দরি মেয়ে যে ঘর করবে আলো।
এভাবে চলে দেখা যে একের পর এক কনে-
হয়না দেখা কনে মনের মত সকলের এক মনে,
দেখতে-দেখতে সময় যায় গড়িয়ে দেখা হয়না শেষ-
ভালোই চলে কনে দেখে ভাল-মন্দ খাওয়ার রেশ।
পাত্র বোঝে কনে দেখার মার-প্যাচের হিসাব-
এভাবে ফিকে যায় পাত্রের বিয়ে করার মনোভাব,
যায় সময় ফুরিয়ে;লোক জন পাশ থেকে যায় চলে-
পাত্র ভেবে না পায় কুল কি লেখা ছিল কপালে...
চলে যায় দিন; রাত্রিও কেটে যায় এক সময়-
পাত্রের মনের ব্যাথা কেউ জানতে নাহি পায়,
দেখা-দেখিতে আর বিশ্বাস থাকেনা বাস্তবে করতে চায়-
পাত্রের মনে ধৈর্যের বাঁধ পানি নাহি পায়।
চলে একাকী সংগ্রামে বিয়ে করার রীতিমত সংসারে-
কেউ সাথে থাকেনা যায় ছিঃছিঃ করে মুখ ফিরে,
বিয়ে করার প্রত্যয়ে বুকে আশা করে জমা শেষে-
করে বিয়ে জীবনের তাগিদে ভালোবেসে অবশেষে......
এসএম মনিরুজ্জামান আকাশ
প্রভাষক-
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ,
প্রফেসর বয়েন উদ্দিন ডিগ্রি (অনার্স) কলেজ,
চাটমোহর, পাবনা।