কলমেঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
রসায়নে অনার্স, অঢেল লেখাপড়া শিখালেন মা-বাবা
বিয়ের পরে আমি হয়ে গেলাম গোমূর্খ হাবা,
চৌধুরী বংশের ছেলে হাতছাড়া করা যায় না
আমার শ্রদ্ধাশীল মা-বাবা ধরলেন বায়না!
রসায়নের ক্লাসে পটপট বলতাম যৌগিক ফরমূলা
আজ স্বামীর বংশ মর্যাদা নাকের ডগায় ঝোলানো মূলা!
পদার্থবিদ্যার নিউটনের তৃতীয় সূত্র শুধু আছে মনে,
To every action there is an equal and opposite reaction.
এই ফর্মূলা জীবনের সাথে মিলে, বিড়বিড় করি কিচেনে।
দিনে হেঁশেলে রাঁধুনি, রাতে পরমেশ্বরের কোলবালিশ
নিচে ভূতল উপরে অন্তরীক্ষ, কার কাছে করি নালিশ?
আমি সুপক্ব রাঁধুনি, রাধি কোর্মা পোলাউ হরেক পদ
আমার দেব রানি, ভাদ্দরবউ পরশ্রীকাতর, বেজায় বদ!
কবিতা লেখা ছিলো নেশা, এখন শ্বাশুড়ির বারণ
আমি রূপশ্রি, হতে পারে প্রেম কারো সাথ, এটাই কারন।
রান্না করা, খাওয়ানো, স্বামীকে সোহাগ করে সুখের ঘর
চৌধুরী বংশ আপন হয়েছে, দুনিয়া হয়েছে পর!
কে বানায় ‘হাইপারসনিক’ ‘সুপারসনিক’ জানিনা আমি
সব ঠিক, আমি লক্ষ্মী বউ, শয্যায় যদি খুশি থাকে স্বামী!
মেয়ে মানুষ, রাধুনী আর বাচ্চা পয়দার কারখানা
চারদেয়ালের বাইরে কি দরকার, পতির বিছানা, ঠিকানা
রান্না করা , বাচ্চা লালন-পালন, স্বামী সেবা
চৌধুরী বাড়ীর বউ, এর বাইরে কলম ধরেছে কবে কেবা,
দেবরানি আর ভাদ্দর বউ থাকে আমার পাহারায়
উষসী সুতনু শিক্ষিত বউ, কবে যেন যায় পালায়?