মৃত্যু সে এক অনাহূত অতিথি
প্রকৃতির নির্মম পরিনতি পরিহাস!
অদ্ভুত এক শক্তি প্রকৃতির আছে
জীব আত্মা হরন করে নিয়ে যায় অচীন কোন দেশে!
মৃত্যু ক্ষণ,
মুদে আসে নয়ন,
হিমশীতল মৃত্যুয তুষার হস্তে
ধনী গরীব দাম্ভিক বিত্ত বৈভব ওয়ালা সবই পরাস্ত!
মৃত্যু ক্ষণে পৃথিবী তে ঘনিয়ে আসে কুৎসিত গাঢ় অন্ধকার
জীবনে মৃত্যুর দহন তার নাই কোন আকার!
চারিদিকে নীরব শান্ত পরিবেশ!
যমের কোলে মাথা রেখে চিরনিদ্রা যার নাই শেষ!
মৃত্যু জীব জীবনে সেদিন থেকে সে আশঙ্কা শুরু
জীবনের প্রথম অস্তিত্বের জমাট বাঁধা নভশ্চর ডাকে গুরু গুরু!
শুক্রাণু ফেলোপিয়ানে ডিম্বানুর জাইগেট তৈরি থেকে
আশঙ্কা শুরু, কোনদিন যমরাজ ছোবল হানতে বসে বেঁকে!
মানব জীবনের অন্তিম শয্যায় যতদিন লাশ না হয়
বার বার মরে সে কখনও ব্যর্থ প্রেমে কখনও জীবন যু্দ্ধে সব হারায়!
জীবন চলার পথে মৃত্যু ঘটে বার বার শত বার শত ব্যর্থতায়!
ইহলৌকিক জীবনের ইতি টেনে খেয়া পার ওপারে
জন্ম-মৃত্যুর চক্রবুহ্যে স্বাদ বইতে থাকে এপারে !
প্রতি প্রাণী করে গ্রহন মৃত্যু স্বাধ অমোঘ নিয়ম টানে
রাজা-বাদশা ধনী-গরিব এ চির সত্যি কথাটা জানে!
লোভ লালসায় অর্থ মোহে ছুটাছুটি ক্লান্তিহীন
অবধারিত অনিবার্য নিশ্চিত মৃত্যর কাছে সবার ঋণ!
সহধর্মিণী সন্তান প্রচার প্রসার যশ খ্যাতি সদা থাকে মনে
কি দরকার কয়জন সেই সৃষ্টি কর্তাকে রাখে স্মরনে!
চঙ্গিস খান, আলেকজান্ডার পিনাচোট কুইন মেরি
সবাই গেছে শূন্য হাতে দুনিয়ার সব মোহ ছাড়ি,
আমাকে ও যেতে হবে নির্মম নিস্ঠুর ছেড়ে এ ধরা
সততা সত্যবাদীতা কৃতজ্ঞতা পরোপকারীতা কারো মনে দেয় না সাড়া “