কলমে: হিমাংশু কুমার বৈদ্য (কল্লোল)
আমি বীর সেনা,নাই কিছু মোর মানা,
আমি সত্যের পথে চলি স্বাধীন কথা বলি,
আমি সত্য, ন্যায়, ধর্মের জ্বলন্ত অগ্নিশিখা,
আমি মিথ্যা, অন্যায়, অধর্মের বিভীষিকা।
আমি নির্ভীক, ছায়াদেবী ও দীপ্ত তপন তনয় সখা
ধর্মের ধারক বাহক আমি ধরায় আমি চির দূর্জয়।
আমি শান্ত দম্পতির অশান্ত নাড়ী ছেদন রতন,
নাই মোর ধৈর্য আমি চঞ্চল, আমি হা হতাশ মরুঞ্চাল রাহু।
পঞ্চ ইন্দ্রিয় ও ষড়ঋপু মোর আজ্ঞাবাহী দাস,
নিস্কাম প্রেমের আমি নিদর্শনে পুর্ণ করি অভিলাষ।
আমিতো অযোনিসম্ভবা ধরায় ব্যতিক্রম আমার কর্ম,
পূঁজি বাদি সমাজ অবকাঠামোতে আমি ভয়াবহ দাহ,
আমি সর্বনাশা তটরেখা, তটিনীর মমতাময়ী কল্লোল,
মমতার অঞ্চলে আবৃত হই আমি আবার সর্বনাশা সুর।
আমি চাইনা অলসতা, অকর্মক পরাজিত মুখ,
বরেণ্য দূর্জয় পরিশ্রমী সেনা বারবার মনের বাসনা।
আমি তিল্লোত্তমা নগরী সৃজনের অন্তরায় দুর্নীতির সুলভ,
পেন্সিলের দূর্গম, দূর্লভ দূর্ভেদ্য সর্বনাশা রাবার,
যুগে যুগে আমি অবতরণ করি, চির দুরন্ত দুর্দ্দম।
আমি চির সবুজ, সহজ সরল প্রাণবন্ত নই শকুনি মামা,
রাবণের চিতা নিরাসনে শান্তির বার্তা স্বর্গীয় অমিয় ধারা।
আমি কালাজ্বর ঠক ঠক কাঁপনি মাতা শীতলানন্দন,
আমি জ্বরা, ব্যাধিরূপে ধরায় করি কাল দংশন।
ছোট্ট সোনামনির সুমিষ্ট বুলি আমি আবার গরল উদগার বিষ,
আমি নিস্কাম প্রেম প্রিয়ার গোপন প্রনয়াশন,
অসূর্যস্পর্শ্যা লাস্যময়ী সাগরিকার কবরী বন্ধন।
আমি শহীদ জননীর শিরায় প্রবাহিত বিদ্রোহী রক্ত,
বিদ্রোহীর ধমনিতে বিষের সুরের অন্ধভক্ত।
আমি পিতামোহের ধারায় চলি নাহি নিজ নিকেতন,
আমি সর্বত্র রক্ষক ভক্ষক প্রাণীর দূর্জয় নিশান।
আমি অনন্তকাল অনন্তব্যাধি লোভ বিনাশক,
আমি দুর্জয় শত্রু ষড়রিপুর কাম রোধক।
আমি ভাই হারা ভগ্নির আকুল আর্তনাদ,
আমি আপনার জন্য নির্মিত স্বীয় রাজপথ।
আমি মরুভূমির তুরাগ হ্রেষা শব্দে চলি,
আমি কিশানু, দাবানল দহন করে সৃষ্টিকরি নবরাজ্য।
আমি নিস্কাম ফুলশর, মনোজ, রতিসাক্ত মদন,
আমি অযোনিসম্ভবা তাই প্রকৃতির কোনকিছুতে নাই বারন।
আমি সত্যসম উঁচু অনন্ত গগন ছায়ালোক,
পিচ্চি সোনার আদর,সোহাগ পুলক ও আহলাদ।
আমি বন্ধ্যার বুকে আকুল কাতর ও ব্যাকুলতা,
সত্য নবীন, প্রবীন নব্য , সনাতন ও সাম্প্রতিক।
আমার নই অবসান সমাপ্তি যবানিকা ও শেষ।
আমি বোবার ইঙ্গিত তীঘ্ন দৃষ্টি,
নির্মুল করি উৎপীড়িতের সকল দৌরাত্ম।
আমি প্রশ্নবাণের উদক,উদচী মীমাংসা,
উর্মিমালার ঢেউ ভুজঙ্গসম তরঙ্গ।
আমি ধ্রুবরেখা তপনের দীপ্তময় জ্যোতি,
আদ্যাশক্তির খড়গ আমি ক্ষুরাধার অসি।
আমি শতমুখী মাতা জাহ্নবীর পবিত্র সলিল,
বক্ষে ধারণ করি সকল পাপ, তাপ ও দুঃখ,
সৃজিত করি শ্বেত, শুভ্র ও সিত।
আমি স্বর্গীয় অমিয়ধারা নির্ঝর প্রস্রবণ,
অষ্টম স্তরের জান্নাতের সুশীতল পবন।
পাপীদের শাস্তিতে আমি সপ্ত জাহান্নামের দ্বার,
অষ্টবিংশ নরকে আমি ও করি বিরাজ।
আমি সুতল, পাতাল, তলাতল, ভুতল, মহীতলে বিরাজমান,
দেবলোক, তপঃলোক,সুরলোক,জনলোক, ধ্রুবলোক
ব্রহ্মালোক ও সত্যলোকে ও আমার অবস্থান।
আমি ব্রজবিহারীর মনোহরী বংশীধ্বনি,
আইয়্যামে জাহেলিয়ায় আরবীয় কন্যার সহচরী।
মাতামেরীর নাড়ী ছেদন বাছাধন, মায়াদেবীর ও আমি ভুবন।
আমি বৃক্ষের কিশলয়,প্রসূন রঙ্গন,
সরোবরে সৃজিত সরসিজ, সরোজ,পঙ্কজ।
পামর, নীচে, বুঝিনি আমি ঠকামি বঞ্চনা,
আমি সাবলীল, প্রাঞ্জল জানিনা কুট ও ছলনা।
আমি নটরাজের পরিধেয় অর্জিন, সপ্তপদীতে অপমানে ব্যাকুল,
কিসের ভাবনা আমিতো নিজে ঈশানমুল!
আমি রাজা অন্যায়ের কোপ,ক্রোধ,
নববধুর শংশয়, লজ্জা ও সভ্রম।
আমি সৃষ্টি করি আমার চলার পথ সবার আশীষে,
যেমনি ভাবে চলে মনোরথে।
শশীমনির প্রভায় শুক্লার জ্যোতি ও অমাবস্যার গাঢ় নিশি।
ত্রয়নেত্রে জ্ঞাননেত্রে আমি তত্ত্বদর্শী।
চতুর্থ বেদজ্ঞানে নাহি মোর অহংকার,
পঞ্চবাণে আমি ধরায় করি রসাতল।
ষড়ঋতু, ষড়ঋপুতে আমি মনোরম মনোহরি,
সপ্তসায়রে মন্থিত আমি অমর ক্ষীর দধী।
অষ্টবসুতে আমি ত্রিতাপ জ্বালা ধারণ করি,
নবমগ্রহের আবর্তে আমি সৌরজগতের পরিবারে
দশদিকে আমি ন্যায় সত্যে আসন দানি সবার মোর ক্ষুদ্র বক্ষে।।