কলমে:- দেবিকা রানী হালদার।
কিসের তোমার এত অহংকার
তুমি তো নও জীবনানন্দের ‘বনলতা সেন’,
গ্রীস সৌন্দর্য দেবী আফ্রিদি
কিংবা রক্তকরবীর রবীন্দ্র কল্পনার নন্দিনী?
তিলোত্তমা তো নও
হিংসা-বিদ্বেষ অহংকার তোমার ফাও,
জুলিয়াস সিজারের ক্লিওপেট্রা নও তুমি
স্বর্গ নয় তোমার জন্মভুমি!
নও তুমি রবীন্দ্র নজরুলের কবিতার ছন্দ
মাটির এই অখিলে পদচারণ তাই মনে দ্বন্দ্ব!
নও শেষের কবিতার লাবন্য
তুমি এক জন নর ও নও, নারী সামান্য!
হতে যদি টলস্টয় শেলি রুমি মাইকেলের কাব্য
এ-যুগের কবি তসলিমা কোহিনূর রুণা, ইঞ্জিঃ সিরাজের ছন্দের আহ্বানে সভ্য,
পড়েছো মৃণালীনি লাবন্যের হৃদয় হাহাকার
বুঝতে, তুমি কে, কে তোমার, কোথায় অহংকার !
পড়ে দেখো মানবতা মনুষ্যত্ব নিয়ে কবিতা গুচ্ছ
তুমি সামান্য নারী, ভগবান সৃষ্টি তে বড় তুচ্ছ!
কিসের অহংকার তোমার
তুমি বাচ্চা পয়দা করার এক কারখানা বরাবর,
সব কারখানার চিমনি ধোয়া তুলে রাতদিন জ্বলে
তোমার অদেখা ধোঁয়া জ্বলে তিলেতিলে !
তুমি রাধুনি সেবিকা কোন পুরুষের প্রেমিকা
তুমি হয়তো কোন একজনের মনের নায়িকা,
কারো ঘর করো মোমের মতো জ্বেলে আলো
যৌবন ভাটায় একদিন অবহেলায় একা জ্বলো!
সেই আলো, ধুপ পোড়ানো গন্ধ
বোঝে ক’জন, সবই তো অন্ধ!
তাই আমি কবি বলি, সুউচ্চ উর, তুল তুলে ওষ্ঠের অহংকার ছাড়ো
“বড় মনের” এক নারী হয়ে শিক্ষা-দীক্ষা মানবতায় বাড়ো !