কলমে:- ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
আমি ভালোবাসি আমার বাংলাদেশ
এখন ও হয়নি তার সৌন্দর্য দেখা শেষ!
আমি আর-ও শুনতে চাই বসন্ত আগমনে ঝরা পাতার মর্মর ধ্বনি
যে দেশে শকুনির শেন দৃষ্টি পড়ে আগষ্ট এলে, এখনই তখনই!
সাত হাজার বছর আগে সভ্য দ্রাবিড় থেকে আগত
গোবি মরুভূমির মাটিতে তৈরি হলেও চরিত্রে শংকর অনাহুত,
শাসিত হয়েছে বা বিছানা পেতেছে সেচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়
গুপ্ত, সেন বর্মন তুর্কী আফগান মুঘল পর্তুগিজ ইংরেজের শয্যায়!
আমরা সেই শংকর রক্তের বেঈমান বেজন্মা রোজ দেই প্রমান
পদলেহন, পশ্চাতে লাথি আমরা উপযুক্ত, যদি ভিনদেশী কেউ করে প্রদান!
তাই স্বাধীনতা বেশীদিন আমাদের পেটে সয় না
মীরজাফর মীর সাদিকের জন্ম হয়, সদা হয় আনাগোনা!
আমি কবি সব জেনে ও দেখতে চাই, বসন্তে পত্র পল্লব ঝরে পড়ে
দুঃখ বোধে আমি কাতর, কিভাবে বসন্ত আগমনে পাতাগুলো যায় মরে?
দেখতে চাই, কিভাবে নবলদ্ধ বৃক্ষ পত্র জন্ম নেয়
গন্ধরাজ মল্লিকা শিউলী কামিনী বসন্তে শোভা বাড়ায়?
নতুন পত্রোদ্গম হয়, ফুলে পাপড়ি ছড়ায়, শোভিত হয় বাহারি যৌবন
ষোড়শীর অধর পল্লব, গুন-গুন মধু আহরন, শোভিত মৌবন!
ষাড় ঋতুর হরেক রকম ফুল, গোলাপ মহুয়া বকুল
জবা কামিনী মালতী মল্লিকা মাধবী যূঁই বেলী অম্বর মুকুল!
তোমরা যত ভন্ড প্রতারক চলে যাও ইউরোপ আমেরিকা ছদ্মবেশে
আমি একা পড়ে থাকবো এই দেড় লক্ষ বর্গ কিলোমিটারের বাংলাদেশে!
প্রকৃতি আর প্রমের, উমিচাঁদ জগত শেঠ সংমিশ্রণে লিখবো কবিতা
লিখবো বাংলার দোয়েল শ্যামা কৃষ্ণ চূড়া মধুমতী পদ্মা নদীর অশ্রু গাঁথা!
গ্যালাক্সি নক্ষত্রের বিশালতায় পৃথিবী নামক গ্রহ
বিন্দুর চেয়ে বিন্দু আকার বাংলাদেশে ভূমিদস্যুর কেন এত আগ্রহ?
শতবছর আগে কবি গুরু লিখেছেন, “দুই বিঘা জমি” জমিদার কাহিনি
মহাশক্তিধর তুমি ভূস্বামী, তোমায় তো আমরা দেবতা মানি ,
আমরা নাদান শংকর জাতি, প্রতিবার নিজেরাই বিদেশি ডেকে আনি!
সারিয়ে নাও তোমার অশুভ দৃষ্টি খানি —-
বাংলার এলোমেলো সরিষা ফুলের পরাগ মাখা
বাতাস
বৃষ্টির ঝড়ো হাওয়ায় ধান গম ক্ষেতের দোলায় বসে, দেখতে দাও কবিকে উন্মুক্ত আকাশ!