কলমে:- দেবিকা রানী হালদার।
যে পথে সুখের নহর বহে
যেতে হয় গমের ক্ষেত হয়ে,
যে পথ গেছে মেঠো গা বেয়ে
যে পথে রাখাল যায় গান গেয়ে!
যে পথে গাড়োয়ান ভাটিয়ালি গায়
যে বাঁকে মাঝি বদর বদর নায়,
যে পথে পানশী বউ নিয়ে যায়
যে পথে পালকি বরবধূ বয়!
নিয়ে চলো সেইপথে আমারে
আমি ক্লান্তশ্রান্ত ইঁট সুরকির শহরে,
কতকাল খাইনি পেট ভরে ভাত
কতকাল পাইনি কিশোর বেলার সাথ!
কতকাল বাস আমার এঁদো বস্তিতে
দিন-রাত ট্রেন হুইশেল নেই স্বস্তিতে,
এবারে ফিরায়ে নাও জন্মেছিলাম যে গাঁ
পুকুর পাড়ে গাছের ডালে, পেতাম ঘুঘুর ছাঁ!
গাঙের ঘাঁটে স্নান করতাম সখি গনে
ভিজে শাড়ি ফিরতাম বাড়ি, কত-কী শুনতাম কানে!
লাজে মরে গায়ে পড়ে সখিগন, হাঁটতাম টেনে শাড়ি
রূপের পাগল মজনু সকল কইতো কথা গায়ে পড়ি!
আজ আমি বস্তি ঘরে এক আধবুড়ি
বয়স আজ তিরিশোর্ধ, নয় মোটেই কুড়ি!
তবু লালসায় বৃদ্ধ যুবা চায় দেহের ভাজে
বাবার বোঝা কমাতে এসে ছিলাম শহরে কাজে!