সুজন কুমার রায়, কাকিনা, কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট।
প্রিয়তমা!
একটা ফাল্গুনী প্রেমের অব্যক্ত কিছু শব্দের মাধুরি মিশিয়ে কতবার ভেবেছি তোমাকে একখানা চিঠি লিখব,
যেখানে কেবলই থাকবে ভালোবাসার উষ্ণতা মিশ্রিত হৃদয়ের কথা মালা।
এক শরতের নীল আবিরমাখা প্রেম গুলোকে নিয়ে কতবার ভেবেছি তোমাকে একখানা চিঠি লিখব,
যেখানে কেবলই রঙিন স্বপ্ন গুলো আনমনে দিগ্বিদিক ছুটে চলবে।
প্রিয়তমা!
ভোরের অরুণ আভায় বৃক্ষরাজির সজিবতা ফিরে পেতে দেখে কতবার ভেবেছি তোমাকে একখানা চিঠি লিখব,
যেখানে কেবলই স্নিগ্ধ প্রভাতে রবির সোনা রোদে শিশির কনা গুলো শুকিয়ে যাবে।
গোধুলি সন্ধ্যার মাঝে মেঘের লুকোচুরি খেলা দেখে কতবার ভেবেছি তোমাকে একখানা চিঠি লিখব,
যেখানে কেবলই মেঘের রঙচটা আচলে মেঘের লাল আভা গুলো ভেসে বেড়াবে।
প্রিয়তমা!
হৃদয়ের মাঝে জমে থাকা কষ্ট গুলোকে নিয়ে কতবার ভেবেছি তোমাকে একখানা চিঠি লিখব,
যেখানে কেবলই দুঃখ কষ্ট গুলো পরস্পরের সাথে লুকোচুরি খেলা করবে।
এক বসন্তে কৃষ্ণচূড়ার রং ছড়ানো দেখে কতবার ভেবেছি তোমাকে একখানা চিঠি লিখব,
যেখানে কেবলই সম্পর্কে জুড়ে থাকা ভালোবাসা গুলো পরস্পরের সাথে আলিঙ্গন করবে।
প্রিয়তমা!
তোমার কষ্ট হলে তুমি বরং আমায় চিঠি দিও পৃষ্ঠা জুড়ে লিখে দিও তোমার শত অভিযোগ,
আমায় তোমার মনে পড়লে রাত-দুপুরে চিঠি দিও ধরলে ঘিরে কাছে পাওয়ার তীব্র কোনো রোগ।
তুমি দু’এক শব্দে চিঠি দিও না হয় লিখে দিও শুধুই তোমার নাম,
চিঠি দিও প্রতি মাসে আমার কাছে রক্ষিত থাকুক তোমার চিঠির খাম।